Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

তমলুক থেকে বন্দুক, গুলি-সহ গ্রেফতার ‘শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ’ আরমান ভোলা

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলে থাকার সময় থেকেই আরমান ভোলার অধিকারীদের সঙ্গে 'সুসম্পর্ক'।

তমলুক থেকে বন্দুক, গুলি-সহ গ্রেফতার 'শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ' আরমান ভোলা
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 14, 2021 | 8:52 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: অস্ত্র-সহ গ্রেফতার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত শেখ আমির আলি ওরফে আরমান ভোলা। তিনটি বন্দুক ও সাত রাউন্ড গুলি-সহ তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি সে অর্থে কোনও রাজনৈতিক নেতা নন। তাঁর পরিচিতি অধিকারীদের বিশ্বস্ত হিসাবেই। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে কেউ নেই। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে এ ভাবে বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আরমান ভোলা।

তমলুক পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত ২টো নাগাদ হলদিয়ার আরমান ভোলাকে নেতাজিনগরের টোলপ্লাজা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আরমানের সঙ্গে তাঁর দুই সঙ্গী অরুণাভ কুইতি ও হারাধন মণ্ডলও ছিলেন। গাড়িতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাত রাউন্ড গুলি ও তিনটি বন্দুক উদ্ধার হয়। কিন্তু এইসব অস্ত্রের কোনও লাইসেন্স দেখাতে পারেননি আরমান। এরপরই দুই সঙ্গী-সহ আরমানকে তমলুক থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আরমান ভোলা।

সোমবার তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করেন। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ১৪ দিনের হেফাজতের দাবি জানালেও আদালত ১১ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আপাতত তমলুক থানায় রয়েছেন আরমান ও তাঁর দুই সঙ্গী।

আরও পড়ুন: মদের আসরের উল্লাস গড়াল বচসায়, এক গেলাসের সঙ্গীর গুলিতেই গেল প্রাণ

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকার সময় থেকেই আরমান ভোলার অধিকারীদের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’। শুভেন্দুর দল বদলের পর আরমানও ‘দাদার অনুগামী’ হয়ে ফুল বদল করেন। এদিন রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমার ঘনিষ্ঠ বলে সংবাদমাধ্যম দেখায়। ঘনিষ্ঠ কিছু নয়। পশ্চিমবাংলায় ২ তারিখের পরে ৩ হাজার মিথ্যা মামলা হয়েছে। সে হলদিয়া হতে পারে, হাবড়া হতে পারে। আবার হলদিবাড়ি হতে পারে, মেখলিগঞ্জ হতে পারে। আমি তো সব মামলার কপি জোগাড় করছি। সেগুলি নিয়ে আমি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই চাইব। এই প্রত্যেকটা মামলারই তদন্ত হওয়া দরকার। কার নির্দেশে পুলিশ এগুলি তৈরি করেছে তা সামনে আসা দরকার। সেখানে যদি কেউ প্রকৃত দোষী থাকে তার নিশ্চয়ই শাস্তি হবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি ৯০ শতাংশই এর মিথ্যা।”