
পূর্ব মেদিনীপুর: জেলার পুলিশে ওপরেও কি বিশেষ নজর ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপারের! দুই অভিযোগ উঠতেই তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ। পুলিশকর্তার স্ক্যানারে রয়েছেন,
শাহেনশাহ হক। তিনি ভগবানপুর থানার ওসি। গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার ঘটনায় অভিযোগ নিতে টালবাহানা ও তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ। উল্লেখ্য, ২০ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর এলাকায় সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে স্টেজ শো করতে গিয়েছিলেন গায়িকা লগ্নজিতা চক্রবর্তী। সেখানে ঝামেলা বেঁধে গিয়েছিল। এক ব্যক্তি লগ্নজিতাকে ‘সেকুলার গান’ গাওয়ার দাবিতে প্রায় মারতে আসেন বলে গায়িকার দাবি।
‘দেবী চৌধুরাণী’ ছবির গান ‘জাগো মা’ গাওয়ার মাঝেই এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা। ঘটনার পর স্টেজ থেকে নেমে গা ঢাকা দেন ওই ব্যক্তি। পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম মেহেবুব মল্লিক। জানা গিয়েছে, তিনি সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলের মালিকের মধ্যে একজন।
অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে যখন থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন শিল্পী, তখন অভিযোগ নিতে টালবাহানা করা হয়েছিল।
আরেক পুলিশ লুৎফার হোসেন, তিনি নন্দীগ্রাম থানার এসআই পদে কর্মরত। সমাজমাধ্যমে তাঁর কিছু ‘অপ্রীতিকর’ ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়া ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে ব্যবস্থা নিল জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কর্তব্যে গাফিলতি বা নৈতিক স্খলন কোনও কিছুকেই বরদাস্ত করা হবে না। এসডিপিও-র জমা দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সমগ্র দুই বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে বলেন, “দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এসডিপিও পদমর্যাদার অফিসাররা এই তদন্ত করছেন। লগ্নজিতা চক্রবর্তীর হেনস্থার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। পাশাপাশি ওসির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”