Teacher Transfer: ‘যেতে দেব না’, শিক্ষকের বদলির নির্দেশ আসতেই স্কুলের গেটে ঝুলল তালা

Kanishka Maity | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 23, 2023 | 6:19 PM

Teacher Transfer: ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবি, কোনওভাবেই অন্য স্কুলে পাঠানো যাবে না ওই শিক্ষককে। যদি বদলি করে দেওয়া হয় তাহলে তাঁরা স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াকে অন্য স্কুলে ভর্তি করে দেবেন। তাঁদের দাবি, ওই শিক্ষক স্কুল থেকে চলে গেলে তাঁদের বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে।

Teacher Transfer: ‘যেতে দেব না’, শিক্ষকের বদলির নির্দেশ আসতেই স্কুলের গেটে ঝুলল তালা
দিনভর উত্তেজনা এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কাঁথি: স্কুলের শিক্ষকের বদলির নির্দেশ আসতেই ক্ষুব্ধ গোটা গ্রাম। প্রতিবাদে স্কুলের গেটে ঝুলল তালা। বন্ধ মিড ডে মিল। পরীক্ষার রেজাল্টও পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিতে পারলেন না শিক্ষকেরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের কুশবনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলেরই শিক্ষক সুব্রত মণ্ডল। ২০১৭ সাল থেকে তিনি এই স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকায়, তিনিই বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু, আচমকা বদলির নোটিস আসায় অবাক তিনিও। বলছেন, “বদলি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি অবাক। ২০১৭ সাল থেকেই এই স্কুলে রয়েছি। বদলির পিছনে কিছু অভিসন্ধি রয়েছে।”

এদিকে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবি, কোনওভাবেই অন্য স্কুলে পাঠানো যাবে না ওই শিক্ষককে। যদি বদলি করে দেওয়া হয় তাহলে তাঁরা স্কুলের সমস্ত পড়ুয়াকে অন্য স্কুলে ভর্তি করে দেবেন। তাঁদের দাবি, ওই শিক্ষক স্কুল থেকে চলে গেলে তাঁদের বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে। বদলি রুখতে ইতিমধ্যেই গণস্বাক্ষর অভিযানে নেমেছেন প্রতিবাদী গ্রামবাসীরা। তা নিয়ে সার্কেল ইন্সপেক্টর ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানে কাছে দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনায় ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে জেলার শিক্ষামহলে।

ঘটনায় গ্রামের বাসিন্দা গৌতম দাস বলেন, “উনি এই স্কুল থেকে চলে গেলে আমরা আমাদের বাচ্চাদের আর এখানে রাখব না। ওনার বদলি ঠেকাতে আমরা যা করার তাই করব। সে কারণেই স্কুলের গেটে তালা ঝুলছে।” তবে গোটা পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে রয়েছে সুব্রতবাবু। তিনি আবার বলছেন, “বদলির নির্দেশ এসেছে। এটাতো সরকারি নিয়ম। অভিভাবক থেকে গ্রামবাসীরা স্কুলের তালা লাগিয়ে দিয়েছে। একাধিকবার গ্রামবাসীদের অনুরোধ করেছি তালা খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু, ওনাদের দাবি, তাঁদের কথা দিতে হবে এই স্কুলে আমি থাকব। আমি তো এটা কথা দিতে পারি না। এটা তো সরকারি নিয়ম।”

Next Article