Purba Medinipur : ‘যাবেন না স্যর’, বদলির নির্দেশ আসতেই শিক্ষকের পথ আটকে কান্নায় ভেঙে পড়ল পড়ুয়ারা

Kanishka Maity | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 21, 2023 | 5:05 PM

Purba Medinipur : প্রিয় শিক্ষকের বদলির নির্দেশ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষকের বদলি রুখতে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা পথ আটকাল। ঘটনাস্থলে বিডিও এবং পুলিশ।

Purba Medinipur : ‘যাবেন না স্যর’, বদলির নির্দেশ আসতেই শিক্ষকের পথ আটকে কান্নায় ভেঙে পড়ল পড়ুয়ারা
বদলির নির্দেশ আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পড়ুয়ারা

Follow Us

নন্দকুমার : বদলি হয়ে যাচ্ছেন প্রিয় শিক্ষকের (Teacher)। তাতেই যেন মন খারাপের সুর গোটা স্কুল (School) চত্বরে। স্কুলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ল পড়ুয়ারা। অভিভাবকদের মনেও বিষাদের ছায়া। ভেজা চোখে সকলেই বলছেন, ‘থেকে যান। যাবেন না স্যার।’ কখনও পরীক্ষা, কখনও স্কুলের পরিকাঠামোগত উন্নতির দাবিতে প্রায়শই রাজ্যের একাধিক স্কুলে বিক্ষোভ-পথ অবরোধে দেখা গেলেও, এবার প্রিয় শিক্ষককে রাখতে চেয়ে পথ অবরোধ নন্দকুমার (Nandakumar) ব্লকের বরগোদা জালপাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। ঘটনাস্থলে বিডিও এবং পুলিশ।

নন্দকুমার ব্লকের বরগোদা জালপাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখর ধর। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার বদলির নির্দেশ এসেছে। তাঁর পরিবর্তে ওই স্কুলে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। আর তা মেনে নিতে নারাজ ওই স্কুলের ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকেরা। রাজ্যজুড়ে বর্তমান সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। মুখ পুড়ছে শাসকদলের। ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে গোটা শিক্ষক সমাজের। সেখানে বরগোদা জলপাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখর ধরের বদলে রুখতে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছাত্র-ছাত্রীরা। বদলির প্রতিবাদে সামিল হলেন তাদের অভিভাবকেরা। 

সূত্রের খবর, এদিন স্কুল শুরুর সময় থেকে স্কুলের সামনে জড়ো হতে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা। স্কুলের সামনের বাস রাস্তায় শুরু হয় অবরোধ। দাবি একটাই, রুখতে হবে প্রধান শিক্ষকের বদলি।  অভিভাবকদের মতে, ‘প্রধান শিক্ষক শেখর ধরের কারণে স্কুলের সামগ্রিক মানোন্নয়নের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ও খেলাধুলার প্রতিভা বিকাশ হয়েছে। এখন যদি তিনি বদলি হয়ে যান তাহলে স্কুল অচল হয়ে পড়বে। 

মন খারাপ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখর ধরেরও। তিনি জানান, ‘তাঁর চাকরি জীবনের প্রায় ২২ বছর এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। শেষ সাত বছর ধরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি নির্দেশে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজ করছেন। এখন সরকারি নির্দেশেই তাঁকে অন্যত্র চলে যেতে হবে।’ তবে ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা তাঁকে যে ভালোবাসায় বেঁধে রেখেছে তাতে তিনি আপ্লুত বলেও জানিয়েছেন।

Next Article