
দিঘা: দিঘার জগন্নাথ ধামে উৎসবের আমেজ সোমবার সকাল থেকে। রাজ্যব্যাপী প্রসাদ বিতরণের কর্মসূচি শুরু হয়ে গেল এদিন থেকেই। তার জন্য আচার-অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশেষ পুজোর আয়োজনও করা হয়েছিল এদিন। মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে মন্দির থেকে। পুজোকে কেন্দ্র করে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে দিঘায়। পর্যটকরাও দলে দলে দেখতে যাচ্ছেন সেই পুজো।
নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৭ জুন থেকে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে প্রসাদের প্যাকেট। দিঘার জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টির সদস্য এবং কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমণ দাস জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক, হিডকো এবং জেলা প্রশাসন এই কর্মযজ্ঞের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
সোমবারের বিশেষ পুজোর জন্য কলকাতা থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উৎকৃষ্ট মানের প্রায় ৩০০ কেজি খোয়া ক্ষীর। মন্দিরে কীর্তন সহযোগে দুপুরের রাজভোগ নিবেদনের পর বেলা সাড়ে ১০টার মধ্যে ক্ষীরভোগ গ্রহণ ও নিবেদন সম্পন্ন করা হয়েছে।
এরপর এই প্রসাদের ক্ষীর রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হবে। সেখানে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে ক্ষীরের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি করা হবে পেঁড়া, গজা ইত্যাদি। এরপর ‘দুয়ারে রেশন’ ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলার প্রায় ১ কোটি ৩৫ লক্ষ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে প্রসাদ।
উল্লেখ্য, এই প্রসাদ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, প্যাকেটে পুরে যে মিষ্টি বাড়ি বাড়ি পাঠানো হবে, তা আদৌ প্রসাদ নয়। কিন্তু সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে প্রসাদি ক্ষীর মিশিয়েই তৈরি করা হবে ওই মিষ্টি।