নন্দীগ্রাম: অশান্ত নন্দীগ্রাম। সেখানে আবারও খুন তৃণমূল কর্মী। উত্তপ্ত এলাকা। দফায় দফায় বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের। মৃত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর নাম মহাদেব শ্রীসাই (বিল্লা)। অভিযোগের তীর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই নন্দীগ্রামে শ্রীকান্ত মণ্ডল নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে বাড়িতে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর ফের খুন তৃণমূল কর্মী।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে বৃন্দাবনচক ২৫৩ নম্বর বুথের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বিল্লাই। সাতেঙ্গা বাড়ি এলাকায় ওই কর্মীর একটি ছোট কাঠের স্টল রয়েছে। অভিযোগ বুধবার রাতে দুষ্কৃতীরা তার দোকানের সামনেই পিটিয়ে খুন করে। ঘটনা স্থলে নন্দীগ্রাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।
প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “উনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী। ভোর রাতে ওকে দোকানের সামনেই মেরে ফেলেছে। কয়েকদিন আগেই এক তৃণমূল কর্মীকে মেরে ফেলেছিল। এখানে সন্ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। আসলে বিজেপি পরপর নন্দীগ্রামে হারছে। সেই কারণে কর্মীদের খুন করে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভয় দেখাচ্ছে।” বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি বিজেপি রাজ্য সভাপতি হিসাবে পরিষ্কার বলে দিতে চাই বিজেপি খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আর বিজেপি এ ধরনের রাজনীতি করতেও চায় না। আমি বলব তদন্ত হোক। অপরাধী ধরা পড়ুক। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণেও ঘটতে পারে। কিন্তু তদন্ত হওয়া উচিৎ।” বিজেপি নেতা দিব্যেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “রাজ্য সভাপতি প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তার প্রতিক্রিয়ার পর আমার প্রতিক্রিয়া শোভা পায় না। স্বাভাবিক ভাবেই আমি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে সহমত পোষণ করছি।”