নন্দকুমার: বন্ধ বরফ কারখানায় আচমকা বিস্ফোরণ (Blast)। ঘটনায় মৃত্যু হল কারখানার মালিকের। আহত হয়েছেন আরও দুজন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার (Nandakumar) থানা এলাকার বরগোদার গোদার গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার দুপুরের পর আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। চমকে ওঠেন এলাকার মানুষজন। কোথা থেকে আওয়াজ শোনা গেল? গ্রামের মানুষ কিছুক্ষণের মধ্যে জানতে পারেন বরফ কারখানার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে। কারখানার ছাদের একাংশ উড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বরফ কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাসের চেম্বারে ওই বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতাও ছিল অনেকটাই বেশি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত ছয়-সাত বছর ধরে বাস রাস্তার পাশে ওই বরফ কারখানাটি চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন বর্মন ছিলেন বরফ কারখানার মালিক। কিন্তু শেষ এক সপ্তাহ ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। বরফ তৈরির জন্য লিকুইড অ্যামোনিয়া গ্যাসের চেম্বার ঠিকঠাক কাজ করছিল না বলে জানা গিয়েছে।
এদিন ওই গ্যাসের চেম্বার সারাইয়ের জন্য মিস্ত্রি নিয়ে যান বরফ কারখানার মালিক। গ্যাস চেম্বার সারাইয়ের সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস চেম্বারের পাশেই ছিলেন মালিক চন্দন বর্মন। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সারাইয়ের জন্য যে মিস্ত্রিরা গিয়েছিলেন, তাঁরাও গুরুতর আহত হন। এছাড়াও ওই সময় কারখানার ভিতরে থাকা এক বৃদ্ধ আহত হন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় এতটাই যে গ্যাস চেম্বারের একাংশ প্রায় ৬০০ মিটার দূরে উড়ে গিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
বিস্ফোরণে মৃত চন্দন বর্মনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। নন্দকুমার থানার পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। অসুস্থ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নন্দকুমার থানার পুলিশ।