পাঁশকুড়া: মহিলা দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা। একাই থাকতেন একটি অস্থায়ী ঘরে। সোমবার সকালে ওই মহিলার বাড়িতে যান তাঁর ভাই। দরজায় তালা দেওয়া দেখেই সন্দেহ বাড়ে তাঁর। এদিক-ওদিক ঘুরে দেখেন বাড়ির একাংশ ভাঙা। এরপর খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। মহিলাকে চিনতেন প্রত্য়েকেই। দরিদ্র মহিলাকে সাহায্যও করতেন গ্রামের মানুষজন। খবর দেওয়া হলে, এদিন পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। ভাঙা হয় দরজা। আর দরজা ভাঙতেই দেখা যায় উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছে মহিলার নিথর দেহ। পরণে পোশাক নেই বললেই চলে। এমন ঘটনায় চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার গোটপাতা গ্রামের ঘটনা। মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
জানা গিয়েছে, গোটপাতা গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে এসেছেন অনেক দিন আগেই। ওড়িশার বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। বিয়ের পর স্বামী সহ পরিবারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি পাঁশকুড়ায় তাঁর বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন। বেশ কিছুদিন বাপের বাড়ি থাকার পর তিনি খাল পাড়ে একটি অস্থায়ীভাবে বাড়ি বানিয়ে থাকতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
অভিযোগ, সেই বাড়ির ঠিক ৫০ মিটার দূরেই অবৈধ মদের ঘাঁটি চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। ওই মদের ঠেক থেকে মদ খেয়ে বেরিয়েই কেউ বা কারা মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিশ এদিন দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে দেখে, নগ্ন অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। পুলিশ মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকা। তাঁদের দাবি, বারবার অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও মদের ঘাঁটি বন্ধ করতে, কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।