তমলুক: ভর সন্ধেয় বোমা (Bomb) ফেটে উড়ে গেল বাড়ির দেওয়াল। ছাদের ওপর দোতলার কাজ হচ্ছিল। সেই নির্মীয়মাণ দোতলার মধ্যেই থেকে ফাটে বোমা। দেওয়াল উড়লেও কোনোরকমে প্রাণে রক্ষা পেল পরিবার। রবিবার সন্ধেয় নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরুনা গ্রামে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিকট শব্দে বোমা ফাটে এ দিন। তবে কোথা থেকে এল বোমা, কী ভাবে বিস্ফোরণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ময়নার যে বাসিন্দা সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছ, তিনি একজন তৃণমূল সমর্থক। তাই, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা মজুত রাখার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, ভোটের আগে থেকেই এলাকা উত্তপ্ত কারার উদ্দেশে বাড়িতে আগাম বোমা মজুত করে রেখেছিলেন তৃণমূল সমর্থক সুনীল মণ্ডল। যদিও তৃণমূলের দাবি, সুনীল বাবুর বাড়িতে গোপনে বোমা রেখে এসে এলাকা উত্তপ্ত করা চেষ্টা করছে বিজেপিই।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, ‘আমি এই ঘটনায় ব্যথিত। সুনীল মণ্ডল একজন তৃণমূলকর্মী। এক বছর আগে ওনার প্যারালিসিস হয়ে যায়। পারিবারিক অবস্থাও ভাল নয়, দিন এনে দিন খেয়ে কাটে। তাঁর বাড়িতে বোমা রেখের আসার কথা আমরা ভাবতেও পারি না।’ সুনীল বাবুর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বিজেপিই এ কাজ করছে বলে মনে করছেন তিনি। তিনি আরও জানান, ২০১৮ থেকে তৃণমূলে বহ কর্মী ঘরছাড়া, দীর্ঘ দিন ধরেই অশান্ত এই বাকচা এলাকা।
অন্য দিকে, বিজেপির তমলুক জেলা সহ সভাপতি আশিস মণ্ডলের দাবি, এলাকায় বিজেপির নেতাদের ওপর হামলা চালানোর জন্য বোমাগুলি মজুত করা হয়েছিল। তিনি জানান, পুলিশকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। পুলিশ শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করার জন্য উদগ্রীব বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এই ঘটনায় সবং-এর তৃণমূল বিধায়কের মদত আছে বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের।