পূর্ব মেদিনীপুর: তীব্র বিস্ফোরণ! কালো ধোঁয়া। ঘর ভেঙে পড়েছিল। সেখানে থেকেই কারা যেন তিনটে শরীর বার করে নিয়ে গিয়েছে। ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি করছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার
মান্নার স্ত্রী। তিনি TV9 বাংলার প্রতিনিধির সামনেই দাবি করছেন, এই বিস্ফোরণে তাঁর স্বামী রাজকুমার মান্না ও তাঁর দুই ভাই বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুর মৃত্যু হয়েছে। অর্জুননগরের নাড়ুয়াভিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সেখানে ছিলেন আরও চার জন। রাজকুমার-সহ বিশ্বজিৎ গায়েন ও লালুরও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের বুথ সভাপতির স্ত্রীর। বাকি ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে সব থেকে উল্লেখযোগ্য তিন জনের দেহ এখনও পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের বুথ সভাপতির স্ত্রী দাবি করেছেন, ঘটনার পরই কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। তাঁরাই দেহ বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কোথায় নিয়ে গিয়েছেন, তা জানেন না তাঁর স্ত্রীও। তবে এলাকায় একজনও পুলিশকর্মী চোখে পড়েনি।
TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তৃৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার স্ত্রী ও মেয়ে। স্ত্রীর কথায়, “আমার সবেমাত্র চোখটা লেগে এসেছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ হল। দেখি ঘর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমার স্বামী রাজকুমার মান্না, আর দুই দেওর ছিল।” স্ত্রী যখন এই কথাগুলো বলছিলেন, তখনই রাজকুমারের মেয়ে ক্যামেরার সামনে বলেন, “আমি এখানে ছিলাম না। সকালে খবর পেয়ে এসেছি। দেখি ঘর ভাঙা। আমার মা বলল, তোর বাবা আর নেই। তোর বাবাকে কারা যেন নিয়ে গেল… কে নিয়ে গেল বুঝতে পারছি না।”
ঘটনার পর থেকেই ওই ঘরে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের তিন জনের কোনও হদিশও মিলছে না। স্থানীয় বাসিন্দারাও ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। এলাকায় কিছু অত্যুৎসাহী মানুষের ভিড় রয়েছে। তবে ক্যামেরা দেখে নিজেদের আড়াল করছেন সবাই। উল্লেখ্য, এত বড় একটা বিস্ফোরণের পর এলাকায় যে পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন থাকার কথা, এক্ষেত্রে তা নেই। পুলিশ চোখে পড়েনি সে অর্থে।
শনিবার দুই গড়ে দুই মহারথী। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারে সভা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু অভিষেকের সভার আগেই রক্তারক্তি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের ভূপতিনগরে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন।