মন্দারমণি: মন্দারমণি মেরিন ড্রাইভে যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার মাস্টার মাইন্ড। পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, যুবতীকে খুন করে ট্রলি ব্যাগে পুরে মৃতদেহ বাইকে করে মন্দারমণির চাঁদপুরে পৌঁছেছিল অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় মোট গ্রেফতার তিনজন। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মাস্টার মাইন্ডের নাম তাপস জানা। কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। কেরলের একটি আদালত ট্রানজিট হেফাজতে নিয়ে শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে নিয়ে মন্দারমণি পৌঁছায় তদন্তকারীরা। শনিবার অভিযুক্ত তাপস জানাকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশের পক্ষ থেকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। বিচারক অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ই সেপ্টেম্বর মন্দারমণি চাঁদপুর পাথরের উপর থেকে লাবণী দাসের (২৪) অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি নদিয়া জেলা তাহেরপুর এলাকায়। তদন্ত শুরু করে মন্দারমণি উপকূল থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে আগেই পুলিশ দমদম থেকে মৃতের জামাইবাবুর ভাই অর্থাৎ প্রেমিক প্রলয় দাস (৩১) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা দমদম বাসিন্দা মনোজ কুমার গোস্বামীকে (৩২) গ্রেফতার করে। তারা এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। দীর্ঘ আট বছর ধরে প্রলয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল লাবণীর। তবে কী কারণে খুন তা স্পষ্ট নয়।
পুলিশ সূএে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীকে ব্যারাকপুরে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য মন্দারমণিতে নিয়ে আসার চক্রান্ত করেছিল তিনজন। এই ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ছিল রামনগরের সটিলাপুরের বাসিন্দা তাপস জানা। রামনগরে বাসিন্দা হলেও কলকাতায় ক্যাব চালক ছিল। লাবণীকে খুনের পর ট্রলি ব্যাগে মৃতদেহ ঢুকিয়ে বাইকে করে প্রলয় তাঁর বন্ধু আর ক্যাব চালক মন্দারমণি চলে আসে। তাপস জানা বাইক চালায় আর মৃতদেহটি ট্রলি ব্যাগে ধরে বসেছিল থাকে প্রলয় দাস। অভিযোগ, ভোররাতে চাঁদপুরে নির্জন এলাকায় পাথরের উপর মৃতদেহ ফেলে দেয়। পরের দিন আবার বাইকে করে কলকাতার রওনা দেয় দু’জন।
মন্দারমণি উপকূল থানার ওসি দেবব্রত বেরা বলেন, “এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”