বেলদা: মধ্যরাতে মুরগির গাড়ি নিয়ে ফিরছিলেন। অভিযোগ সেই সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক ‘তোলা’ চাইছিলেন। তবে তাঁর ‘দাবি’ মেটাতে পারেননি ওই গাড়ির চালক। অভিযোগ, তখনই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। আর এরই প্রতিবাদে বড় সিদ্ধান্ত নিল ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন। বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হল মুরগি পরিবহন। এর জেরে বাজারে অধিক দামে মুরগি কিনতে হতে পারে অথবা মুরগির মাংস পেতে কালঘাম ঝরতে পারে সাধারণ বাঙালির।
একদিকে হু-হু করে দাম বেড়েছে সবজির। বাজারে গেলেই কার্যত মধ্যবিত্তের পকেটে ছ্যাঁকা লাগছে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বাজারে নামতে হয়েছে টাস্ক ফোর্সকে। তারপর আম বাঙালির অতি পছন্দের মুরগির মাংসের যদি দাম বাড়ে বা না মেলে তাহলে তো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়বেই।
ঠিক কী ঘটেছে?
গত ১১ই জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাত্রে একটি মুরগির গাড়ি যাচ্ছিল। অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থানা এলাকায় পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হয় পোলট্রির গাড়ির চালক। নাম সমীর ঘোষ। তাঁর বাড়ি শালবনীতে। চালকের দাবি তাঁর কাছ থেকে তোলা চাইছিল পুলিশ। তবে অত টাকা না থাকায় নিজের সাধ্য মতো টাকা দিতে চান। কিন্তু এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক।
অভিযোগ, টর্চ দিয়ে আঘাত করা হয় সমীরবাবুর মাথায়। ঘটনার পর তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বেলদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেলদা থানার আইসি পরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার এবং নবান্নে মেল মারফত জানান অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। তার উত্তর মেলেনি বলে দাবি অ্যাসোসিয়েশনের।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কী বক্তব্য?
এ প্রসঙ্গে সংগঠনের এক কর্তা বলেন, “একটি মুরগি বোঝাই গাড়ি পুলিশ আটক করে। বৈধ নথি থাকা সত্বেও পুলিশ গাড়ি আটকে রাখে। হেনস্থা করা হয় চালককে। টাকা চাওয়া হয়। পুলিশ যে টাকা চেয়েছিল সেই টাকা চালকের কাছে না থাকায় উনি দিতে অস্বীকার করেন। চালক নিজের সাধ্য মতো পঞ্চাশ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। আর তার জন্য কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকরা ওই চালককে টর্চের পিছন দিক দিয়ে মাথায় জোরাল আঘাত করেন। রক্তাক্ত হন চালক। গালিগালাজ করা হয়।”