Purba Medinipur: শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড কাঁথিতে, নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে উঠছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ

Kanishka Maity | Edited By: জয়দীপ দাস

Sep 30, 2023 | 12:17 PM

Purba Medinipur: কয়েকদিন আগেই কাঁথি থানার চাট্টভেড়ী এলাকায় এক গৃহবধূর গর্ভবতী অবস্থায় কাঁথির ওই মাদার নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেখানেই অস্ত্রোপচারে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, জন্মের পর ভালই ছিল শিশুটি। কিন্তু, তিনদিন আগে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে।

Purba Medinipur: শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড কাঁথিতে, নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে উঠছে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ
ব্যাপক উত্তেজনা কাঁথিতে
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

কাঁথি: কাঁথির নার্সিংহোমে মৃত্যু সদ্যজাতের। তা নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড শহরে। মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ছেলের। ঠিকমতো খেয়াল রাখেননি চিকিৎসকেরা। সে কারণেই জন্মের পরেই চলে যেতে হল সদ্যজাতকে। নার্সিংহোম চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। দেখাতে থাকেন বিক্ষোভ। যা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা কাঁথি থানার চাট্টভেড়ী এলাকার ওই নার্সিংহোমে।

সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই কাঁথি থানার চাট্টভেড়ি এলাকায় এক গৃহবধূর গর্ভবতী অবস্থায় কাঁথির ওই মাদার নার্সিংহোমে ভর্তি হন। সেখানেই অস্ত্রোপচারে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, জন্মের পর ভালই ছিল শিশুটি। কিন্তু, তিনদিন আগে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরইমধ্যে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।

এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়ে শিশু পুত্রটির। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাজ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন তাঁরা। ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারাও। যদিও সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কাঁথি থানার পুলিশ। 

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন শিশুটির মা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলছেন, “আমি এখানে আগের সপ্তাহে ভর্তি হয়। এখানে বাচ্চা হয়। তখনই বাচ্চাটাকে তিনটে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তারপর জ্বর এসেছিল বাচ্চাটার। তারপর আবার কমেও গিয়েছিল। পরেরদিন দুধও খায়। কিন্তু, তারপর ফের জ্বর আসে ওর। আমি ডাক্তারদের ডাকি। কিন্তু, কোনও ডাক্তার ছিল না। আমি বারবার ওষুধ দেওয়ার কথা বলি, কিন্তু ওরা বলে দুধ খাওয়াতে। এরইমধ্যে অনেক দেরিতে ডাক্তার আসে। তারপর যখন শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে দেখে ডাক্তাররা ততক্ষণে ওর আর কোনও সাড় নেই।”

Next Article