নন্দীগ্রাম: কড়া পুলিশি পাহারা। তার মধ্যেই পুজোর ব্যবস্থা করা হয় নন্দীগ্রামে। কিন্তু রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এতটাই চরমে পৌঁছল যে পুজোই শুরু করা গেল না। মণ্ডপ ছেড়ে চলে গেলেন খোদ ঠাকুর মশায়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নাকি এবিভিপি, কে করবে সঙ্কল্প! তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করতে হয়েছিল নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে। বেলা বাড়লেও পুজো করা গেল না সেখানে।
কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা জানাচ্ছেন, কিছুদিন আগেই কলেজের অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে সরস্বতী পুজো নিয়ে একটি মিটিং হয়। সেখানে পুজো সঙ্কল্প করার জন্য সুমন জানা নামের এক কলেজ পড়ুয়ার নাম সামনে আসে। ঠিক হয়, এ বছর পুজোয় সুমনই ‘ব্রতী’ থাকবে। আর এই নাম নিয়েই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
এবিভিপি-র অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে মিটিং-এ আলোচনা হওয়া সত্ত্বেও সুমন জানাকে পুজোর একদিন আগে সুমন জানাকে সঙ্কল্প করতে বাধা দেয় টিএমসিপি-র সদস্য পড়ুয়ারা। এই নিয়েই দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছচ্ছে।
সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজের টিএমসিপি-র নেতারা। উল্টে টিএমসিপি বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলছে। তৃণমূলের দাবি, এবিভিপি প্রতিনিয়ত কলেজে গণ্ডন্ডগোল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরে কলেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শুভজিৎ দাস নামের এক ছাত্রকে সরস্বতী পুজোর সঙ্কল্প করার জন্য ঠিক করা হয়। এরপর সোমবার সকালে দেখা যায় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কলেজে।
কিন্তু তাতেও পুজো শুরু করা গেল না। এবিভিপি-র অভিযোগ পুজোর সামগ্রী যে ঘরে রয়েছে সেই ঘরের চাবি টিএমসিপি খুলছে না। অপরদিকে টিএমসিপি-র অভিযোগ যে অধ্যাপকের কাছে ওই ঘরের চাবি রয়েছে, তিনি এখনও কলেজে পৌঁছননি। তালা ভেঙে পুজোর সামগ্রী বের করতে হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের।