Road Accident : সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল স্কুলে, ছুটে এল ট্রাক; ঘরে ফেরা হল না ক্লাস সিক্সের পড়ুয়ার

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 14, 2023 | 4:53 PM

Road Accident : দুর্ঘটনার জন্য রাস্তার বেহাল অবস্থাকে দুষেছেন স্কুলের শিক্ষকরা। স্কুল শুরু ও শেষের সময় স্কুলের সামনের রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণেরও দাবিও তোলা হয়েছে।

Road Accident : সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিল স্কুলে, ছুটে এল ট্রাক; ঘরে ফেরা হল না ক্লাস সিক্সের পড়ুয়ার

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর : রোজকার মতো শনিবারও স্কুলে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল ছেলেটে। বাড়িতে সকালের খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েছিল সাইকেল নিয়ে। কিন্তু, কে জানত রাস্তাতেই তার জন্য পাতা রয়েছে মৃত্যুফাঁদ! কে জানত আজই শেষ দেখা বাড়ির লোকের সঙ্গে! কে জানতে আসছি বলে বেরোলেও আর ফেরা হবে না ঘরে। সূত্রের খবর, রোজকার মতো শনিবারও মির্জানগর উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে সকালে বেরিয়েছিল বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) মির্জানগর গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব মণ্ডল। মির্জানগর স্কুলেই যষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত সে। কিন্তু, স্কুলে আসার পথে রাস্তাতেই তাকে পিষে দিয়ে চলে যায় একটা কয়লা বোঝাই ট্রাক। 

এমনকী ট্রাকটির ধাক্কার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় জয়দেবের। ট্রাকের চাকার নীচে চলে যায় তার গোটা দেহ। টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে দেহাংশ। এ দৃশ্য দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক গাড়ির চালক। উত্তেজিত জনতা ঘাতক লরিটিতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। অবরোধ করা হয় রাস্তা। ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ময়না থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুর্ঘটনার জন্য রাস্তার বেহাল অবস্থাকে দুষেছেন স্কুলের শিক্ষকরা। এমনকী স্কুল শুরু ও শেষের সময় স্কুলের সামনের রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণেরও দাবি তোলা হয়েছে। 

রীতিমতো ক্ষোভের সুরে স্কুলের শিক্ষক আলোক কুমার রায় বলেন, “আমি যখন স্কুলে আসি সকালে তখন বাজে ১০টা ২০। দেখি সবাই বাজার থেকে ছুটে আসছে। শুনি রাস্তায় একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। একটা কয়লা বোঝাই লরি এক ছাত্রকে চাপা দিয়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি অকুস্থলের দিকে তাকাতেই পারলাম না। ও তো আমাদের স্কুলের ছাত্র ছিল। দেখা মাত্রই আমার হৃদয়টা কেঁদে উঠল। দেহ তো টুকরো টুকরো হয়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। দুটো পা দেখলাম লরির তলায় চাপা পড়ে রয়েছে। আমাদের এখানে দুর্ঘটনার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। স্কুল শুরুর সময় ও ছুটির সময় যদি যান নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাহলে এই দুর্ঘটনাগুলি এড়ানো যেত। এমনকী রাস্তায় যে বালি ফেলা থাকে তা একেবারে রাস্তার মাঝখান পর্যন্ত চলে আসে অনেক সময়। তাতে যাতায়াতের অসুবিধা হয়।” দুর্ঘটনার জন্য প্রশাসনের অব্যবস্থার দিকেই আঙুল তুলেছেন মৃত ছাত্রের কাকা দীপক মণ্ডল। 

Next Article