Cyber Fraud: থানায় অভিযোগের তালিকায় সিংহভাগই সাইবার প্রতারণা, সর্বস্বান্ত হচ্ছেন মানুষ

Kanishka Maity | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 30, 2023 | 8:15 PM

Purba Medinipur: সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাঙ্ককর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন তমলুক থানার পদুমপুর গ্রামের হরপ্রসাদ মাইতি। অনলাইনে ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের পর নানা অজুহাতে ৮৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এতগুলো টাকা খুইয়ে বোঝেন সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

Cyber Fraud: থানায় অভিযোগের তালিকায় সিংহভাগই সাইবার প্রতারণা, সর্বস্বান্ত হচ্ছেন মানুষ
সাইবার অপরাধ বাড়ছে।
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

পূর্ব মেদিনীপুর: সাইবার প্রতারণা জেলায় জেলায়। বাড়ছে পুলিশি অভিযোগও। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দু’দিনে ৭টি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা সদর থানায় মোট ১০টি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে সাতটিই সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। শিক্ষক, পেনশনভোগী-সহ নানা পেশার মানুষ রয়েছেন অভিযোগকারীর তালিকায়। প্রায় ৬ লক্ষ টাকা গায়েব হয়েছে এই জালিয়াতিতে।

জেলার প্রায় প্রতিটি থানায় সাধারণ অপরাধের চেয়ে সাইবার অপরাধের অভিযোগ বেশি নথিভুক্ত হচ্ছে। প্রত্যেক মাসে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। তমলুক থানার হরশঙ্কর গ্রামের সন্দীপ আদক অনলাইনে ব্লু টুথ হেডফোন কিনেছিলেন। জিনিস হাতে পাওয়ার পর গুণগত মান খারাপ বলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। রিফান্ডের জন্য একটি অ্যাপ নামাতে বলা হয়। সেই অ্যাপ নামিয়ে ওটিপি শেয়ার করতেই অ্যাকাউন্ট থেকে ৩১ হাজার ৮১০ টাকা উধাও।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাঙ্ককর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলেন তমলুক থানার পদুমপুর গ্রামের হরপ্রসাদ মাইতি। অনলাইনে ভুয়ো ইন্টারভিউয়ের পর নানা অজুহাতে ৮৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়। এতগুলো টাকা খুইয়ে বোঝেন সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গত ২৬ তারিখ তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে দু’টি কেসেই।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাঁচটি সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে তমলুক থানায়। উদয়চকের মইদুল পাখিরা অজানা নম্বর থেকে সহজ কিস্তিতে লোন নেন। ৩০ হাজার ৯২০ টাকা খুইয়েছেন তিনি। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের পিতুল সাহা গ্রামের বিজয়কুমার পালের দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মোট তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সম্প্রতি একটি ফোন আসে। জানতে চাওয়া হয় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন কি না। এরপর সেই ওটিপিকাণ্ড! উধাও ৩ লক্ষ টাকা।

তমলুক শহরে ১২ নম্বর ওয়ার্ডেই পদুমবসানের পেনশনভোগী রমেন্দ্রসুন্দর মাইতিরও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে চারবার ১০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। একইভাবে তমলুক থানার পাঁচবেড়িয়া গ্রামের রবীন্দ্রনাথ দাসও খুইয়েছেন ১০ হাজার টাকা। তালিকায় আছেন শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকেরই মথুরির আবুল সালাম মল্লিক। সহজ শর্তে ঋণ নিতে গিয়ে ২৫ হাজার টাকা খোয়ান তিনি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এই অভিযোগগুলি তমলুক থানা পেয়েছে।

Next Article