
পূর্ব মেদিনীপুর : “কাশ্মীরের থেকেও খারাপ অবস্থা বাংলার। ডাবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া পশ্চিমবঙ্গকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।” ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মুকুটশিলার সভায় শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পণ্ডিত, জেলা পর্যবেক্ষক মলয় সিংহ, সাংগঠনিক জেলার দুই সাধারণ সম্পাদক তাপস দোলাই, চন্দ্রশেখর মণ্ডল, বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক। এদিনের সভা থেকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফের একবার উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় শুভেন্দুকে।
প্রসঙ্গত, নতুন বছরের শুরু থেকে বাংলায় পথ চলা শুরু করেছে দেশের সবথেকে দ্রুতগামী ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে পথ চলা শুরু হতেই লাগাতার হামলার মুখে পড়েছে বন্দে ভারত। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই পরপর দু’বার হামলা হয়েছে এই ট্রেনে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। নিরাপত্তায় রয়েছে ফাঁক, বিজেপি নেতারা কাঠগড়ায় তুলেছে বাংলার সরকারকে। চুপ করে নেই তৃণমূল নেতারাও। শুভেন্দুর দাবি, “সবাই জানে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাটা কী! এখানে কেন্দ্রীয় সম্পত্তিকে টার্গেট করা হচ্ছে।”
এখানেই না থেমে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনেও মমতার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। বলেন, “সিএএ-র সময় সামসিতে ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলেছিল। হাজারদুয়ারি পুড়িয়েছিল। বেলডাঙা-রেজিনগরে স্টেশন জ্বালিয়েছিল। সবাই জানে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাটা কী! এই জন্য বাংলায় প্রয়োজন কাশ্মীরের মতো কঠিন এবং কঠোর ব্যবস্থা। চাকরি চুরির বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযান হলে গ্যাস ফাটানো হয়, লাঠি মারা হয়, জল কামান ছোড়া হয়, রাবার বুলেট ছোড়া হয়। সিএএ নিয়ে যখন নবান্নের সামনের রাস্তা চারদিন বন্ধ থাকে তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ঘুমিয়ে থাকে। নবান্নের পাশে সাঁতরাগাছিতে ৩৭টা বাস পড়ানো হয়েছে। উলুবেড়িয়াতে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ভাঙা হয়েছে।”