নন্দকুমার: বহু জায়গাতেই বিজেপির সঙ্গে হাত ধরাধরি করে ভোটের ময়দানে নেমেছে সিপিএম। বরাবরই শাসক তৃণমূলের অভিযোগ ছিল এমনই। বোর্ড গঠনেও বহু জায়গাতেই উঠেছে রাম-বাম জোটের তত্ত্ব। যদিও লাল শিবিরের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের বরাবরের দাবি, এই জোট আসলে মানুষের জোট। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমবায়ের ভোটেও দেখা গিয়েছিল ‘রাম-বাম’ জোটের ছবি। এবার যেন সেই ছবিই ফিরল নন্দকুমারের শীতলপুরে।
প্রসঙ্গত, নন্দকুমার ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৩টি। ভোটের ফল বের হতে দেখা যায় তৃণমূল পেয়েছে ১১টি আসন, সিপিএম ৫টি, বিজেপি ৫ টি এবং নির্দল ২টি আসন। এরইমধ্যে ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের দখলে রাখতে সিপিএমের প্রার্থী আব্দুল জব্বারকে পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করায় শাসকদল, ওঠে এমনও অভিযোগ। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। গত ১১ অগস্ট বোর্ড গঠনের দিনও ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও জল গড়ায় আদালতে। সিপিআইএমের তরফে লড়েন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এরইমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন ৬ সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় বোর্ড গঠন করার। ফলে পুরনো প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে যায়। নির্দেশ দেওয়া হয় পরের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া হবে ২৮ নভেম্বর।
সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মেনে এদিন সকাল থেকেই বোর্ড গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। কিন্তু দেখা যায় বিজেপি, সিপিএম ও নির্দলের জয়ী প্রার্থীরা একইসঙ্গে জোট বেঁধে বসে রয়েছেন নন্দকুমারের সিপিআইএম পার্টি অফিসে। একইসঙ্গে তাঁরা যান নন্দকুমারের বিডিও-র কাছে। আলাদাভাবে আসেন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীরা। ‘রাম-বাম’ জোট নিয়ে ইতিমধ্যেই কটাক্ষবাণ শানাতে শুরু করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতারা। যদিও সিপিআইএমের দাবি, এই জোট মানুষের জোট। সূত্রের খবর, আগামী ৮ ডিসেম্বর এই মামলার অন্তিম শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তখনই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত সিলমোহর পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।