সমুদ্রের জল ঢুকতে শুরু করল গ্রামে! প্রবল জলোচ্ছ্বাস, তছনছ হতে শুরু করেছে দিঘা
ভিমবেগে ধেয়ে আসছে ইয়াস। সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, দিঘা (Digha) থেকে ইয়াসের (Cyclone Yaas) দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ধামরা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। বালাসোর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ইয়াস। ল্যান্ডফলের স্থলে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। কলকাতায় এই মুহূর্তে ৬২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ো হাওয়া বইছে।
কলকাতায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। সকাল থেকেই কলকাতায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দিঘার সমুদ্রে ৩০ ফুট উচ্চতায় ঢেউ উঠছে। ইতিমধ্যেই গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। কোমর সমান জল গ্রামগুলিতে। দিঘা, চাঁদিপুরেও হচ্ছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। ডুবে যাচ্ছে গাড়িও।
মৌসম ভবনের বুলেটিন বলছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ২০ ডিগ্রি ১ মিনিট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭ ডিগ্রি ৮ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তর পশ্চিম দিকে। যদি উত্তর দিকে এগোতে, তাহলে সোজা পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়ল ইয়াস। ধামরা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে ইয়াস। কিন্তু ধামরা উপকূলে একটি বাঁক রয়েছে। সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ ঘুরে পৌঁছে যাচ্ছে ধামরা ও বালেশ্বরের মাঝামাঝি জায়গাতে। ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত ৩ কলাম সেনাবাহিনী। প্রস্তুত এনডিআরএফ-এর টিমও।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপড়া, জগৎসিংহপুরের মতো উপকূলীয় জেলাগুলিতে অতি ভারী এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিবঙ্গের দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
♦♦♦ ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যে কোনও বিপদে পড়লে ফোন করুন এই নম্বরগুলিতে ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬।