
দিঘা: জনসমুদ্র দেখার অপেক্ষায় সৈকত শহর। কয়েকদিন আগেই মন্দির উদ্বোধন হল। এবার দিঘায় ফের উৎসবের আমেজ। তুঙ্গে রথযাত্রার প্রস্তুতি। পুরীর আদলে তৈরি এই মন্দিরকে ঘিরে এবার রথযাত্রার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।
গত ৩০ এপ্রিল মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে এই মন্দিরের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এবার রথযাত্রার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন।
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রথমবার হবে রথযাত্রা। ফলে জাঁকজমকের অভাব থাকছে না। এই আয়োজন নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। পুরীর রথযাত্রার মতোই এখানেও তিনটি সুবিশাল রথ রাখা হয়েছে মন্দির চত্বরে।
পুরীর মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। তাই দিঘার রথযাত্রাতেও থাকছে পুরীরই ছোঁয়া। করা হচ্ছে মহোৎসবের আয়োজন। রথযাত্রার আগে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়। এর মধ্যে অন্যতম হল চন্দনযাত্রা ও স্নানযাত্রা।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে সূচনা হয়েছিল চন্দনযাত্রার। জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে (আগামী ১২ জুন) পালিত হবে জগন্নাথ দেবের পবিত্র স্নানযাত্রা উৎসব। জগন্নাথের জন্মতিথি হিসেবেও পরিচিত দিনটি। গর্ভগৃহ থেকে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা, সুদর্শন চক্র ও মদনমোহন বিগ্রহকে স্নানবেদীতে বসানো হবে। পঞ্চামৃত সহযোগে ১০৮টি কলসি জলে বিগ্রহগুলিকে প্রথাগতভাবে স্নান করানো হবে। বিগ্রহগুলিকে সুন্দর বেশভূষায় সজ্জিত করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী রথযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন বলেই খবর। জানা যাচ্ছে, সোনার ঝাড়ুতে রথের পথ সাফ করবেন তিনিই। প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা খরচে দিঘা থানা সংলগ্ন পুরনো জগন্নাথ মন্দিরকে (প্রস্তাবিত মাসিরবাড়ি) ঘিরে পরিকাঠামো উন্নয়নের সব প্রস্তুতিও প্রায় শেষ পথে। মাসির বাড়িতেও ভক্তদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। দারুব্রহ্ম রথে করে মাসির বাড়িতে গেলেও পাথরের বিগ্রহ থেকে যাবে দিঘা জগন্নাথ ধামে। ফলে রথের দিন থেকে সেখানেও মাসির বাড়ির আচার -অনুষ্ঠান পালিত হবে।