রামনগর: গোপানাঙ্গে ফোঁড়া। তা নিয়েই লাগাতার বন্ধুদের ঠাট্টা-ইয়ার্কি। বংশবিস্তার, যৌন সম্পর্ক নিয়েও কটূক্তি-মসকরা। আর তাতেই দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন রামনগরের উত্তর তেঁতুলতলা গ্রামের বাসিন্দা প্রীতম দাস (২২)। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেই প্রীতমেরই টুকরো টুকরো দেহ উদ্ধার হল রেললাইন থেকে। ইতিমধ্য়েই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই দেখছে।
পরিবারের লোকজনের সন্দেহ মানসিক অবসাদ থেকেই এই কাজ করেছেন প্রীতম। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন আগেই বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রীতম। তারপর থেকেই বাড়িতেই বেশি থাকতেন। মাস ছয়েক আগে গোপনাঙ্গে একটি ফোঁড়াও দেখা যায়। সেই ফোঁড়ার কথা জানাজানি হতেই বন্ধু ও প্রতিবেশীদের কাছে হাসির পাত্র হয়ে ওঠেন তিনি।
পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, ফোঁড়ার কারণে সে কোনওদিন সন্তানের জন্ম দিতে পারবে না, যৌন সম্পর্কে সমস্যা হবে এসবও বলতে থাকে বন্ধুরা। এ কথা শুনতে শুনতে দিনের পর দিন আরও মানসিক অবসাদের সাগরে তলিয়ে যেতে থাকেন ওই যুবক। মাসখানেক ধরে অবসাদের তীব্রতা আরও বাড়েব। ডাক্তার দেখানোরও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, তারমধ্যেই যে সে এমন কাণ্ড করে বসবে তা মানতে পারছেন না কেউই। শোকের ছায়া পরিবারে।