এগরা: এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ। তবে হয়েছে তার। এবার গ্রেফতার হলেন ভানুর স্ত্রী গীতা বাগ। বুধবার ভোর রাতে ওড়িশা থেকে সিআইডি গ্রেফতার করে তাকে। বাপের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন গীতা। তবে সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ ধৃতকে ওড়িশা থেকে নিয়ে আসা হবে পূর্ব মেদিনীপুরে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই আজই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে সিআইডি (CID) সূত্রে খবর।
এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রথম থেকেই নাম উঠে আসে ভানু ও ভানুর স্ত্রী গীতা বাগের। ঘটনার দিন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাইকে চড়ে পালান তাঁরা। গিয়ে ওঠে ওড়িশার বালেশ্বরে। সেখানে তাঁদের অপর একটি বাড়ি রয়েছে। তবে বিস্ফোরণের জেরে ভানুর শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ অংশই পুড়ে যায়। সেই কারণে জামাই তাঁকে ভর্তি করে দেন কটকের হাসপাতালে। কিন্তু এরপরও গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে পারেননি। ওড়িশা পুলিশের সাহায্যে হাসপাতালেই গ্রেফতার হন ভানু। তবে শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় মৃত্যু হয় ভানু। তবে ভানুর মৃত্যু হলেও খোঁজ মিলছিল না তাঁর স্ত্রী গীতার।
কিন্তু নাছোড় সিআইডি এবং পুলিশ। গীতার খোঁজে লাগাতার তল্লাশি চালাতে থাকেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের জেরে আহত হয়েছেন গীতাও। তবে খুব বেশি আঘাত লাগেনি তাঁর। নিজের ভাইয়ের বাড়িতেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর কামারদা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার তল্লাশি চালানো হয়। আজ ভোর রাতে গ্রেফতার হন গীতা। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় ভানু ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর পুত্র ও ভাগ্নে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ই মে মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা (Egra)। একটি বেআইনি বাজির কারখানায় বিস্ফোরণটি হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারা যায় রকেট বাজির পরীক্ষা করতে গিয়েই বিপর্যয় হয়েছে। বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান প্রায় ১২ জন মানুষ। আহত একাধিক। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে দেহগুলি ছিটকে এ দিক ওদিক পড়তে শুরু করে।