AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Digha Hotel Booking: দিঘা-মন্দারমণিতে বড় চক্র, হাজার-হাজার টাকা খোয়াচ্ছেন পর্যটকরা

Digha Hotel Booking Fraud: আর শুধুই দিঘা, মন্দারমণি নয়। একই ছবি ধরা পড়েছে তাজরপুর, শঙ্করপুরের ক্ষেত্রে। হোটেল বুকিং করতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটকরা। কয়েক মাস আগের কথা, ওল্ড দিঘায় ১৭ থেকে ২০ মে পর্যন্ত একটি হোটেলে রুম ভাড়া নিয়েছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা সহেলি চট্টোপাধ্য়ায়।

Digha Hotel Booking: দিঘা-মন্দারমণিতে বড় চক্র, হাজার-হাজার টাকা খোয়াচ্ছেন পর্যটকরা
দিঘাImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2025 | 9:50 AM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: দিঘায় যাওয়ার কথা ভাবছেন? কিংবা মন্দারমণি? হোটেল বুকিং করতে হবে, তাড়াহুড়োর একটা ব্যাপার। আর সেখানেই পাতা রয়েছে ‘আসল ফাঁদ’। যা নিয়ে চিন্তায় খোদ পুলিশও। পর্যটকদের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন প্রতারকরা। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাঁদের টিকিও।

আর শুধুই দিঘা, মন্দারমণি নয়। একই ছবি ধরা পড়েছে তাজরপুর, শঙ্করপুরের ক্ষেত্রে। হোটেল বুকিং করতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটকরা। কয়েক মাস আগের কথা, ওল্ড দিঘায় ১৭ থেকে ২০ মে পর্যন্ত একটি হোটেলে রুম ভাড়া নিয়েছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা সহেলি চট্টোপাধ্য়ায়। পয়লা মে অগ্রিম বাবদ দেড় হাজার টাকাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরদিন হোটেলে ফোন করে তিনি জানতে পারেন, এমন কোনও বুকিং হয়নি। এরপরই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তবে সহেলি একা নন। এমন প্রতারণার শিকার ওনার মতো বহু পর্যটক।

এদিন দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা সার্বিক ভাবে খুব বড় চক্র। শুধু দিঘা কিংবা শঙ্করপুরে নয়, দার্জিলিং, পুরীতেও চলছে। এরা নির্দিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রের কোনও নামী হোটেলের একেবারে নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলছে। মানুষকে ঠকাচ্ছে।’

কিন্তু এই প্রতারণা থেকে কীভাবে গা-বাঁচানো সম্ভব? বিপ্রদাস বাবু বললেন, ‘আমরা পর্যটকদের মধ্যে এই নিয়ে অনেক সচেতনতা তৈরি করেছি। সমাজমাধ্যমের দ্বারা তাঁদের সতর্ক করছি। যাতে তাঁরা কোনও ভাবে সাইবার প্রতারণা শিকার না হন।’ এদিন কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস বলেন, ‘অনেকগুলো অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে হোটেল মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সাধারণের মধ্যেও সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছি। যাতে তাঁদের টাকা কোনও ভাবে মার না যায়। আর যাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন, সেগুলির তদন্ত এখন চলছে।’