মেদিনীপুর: মহিষদার লিফলেট বিতর্ক এবার পৌঁছল দিল্লিতে (New Delhi)। ঘটনার নিন্দা করে টুইট করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করলেন তিনি। শুক্রবারই কেশপুরের মহিষদায় একটি লিফলেট ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। যেখানে বিরোধী দলের কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। লিফলেটের মাথায় লেখা ছিল ‘মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস’। যদিও তৃণমূলের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে বিরোধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল যদি এরকম লিফলেট ছাপাত তা হলে ‘মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল’ কখনওই লিখত না।
শনিবার টুইটারে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন লেখেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানাচ্ছি, সব নাগরিকের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করুন।’ অন্যদিকে এই ঘটনায় টুইটারে বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত লেখেন, ‘শাসকদলের এরকম কালো তালিকা তৈরি করা নতুন কিছু নয়। কার্যকর্তাদের মনোবল ও আর্থিক জোর ভেঙে দিতেই এমন কাজ।’
This is shocking. Would urge CM @MamataOfficial to see that ALL citizens in West Bengal are protected and not ostracised or denied the basics. Otherwise, a true shame. https://t.co/RnHYo6J6xN
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) June 5, 2021
প্রসঙ্গত, মহিষদা তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)-এর গ্রাম। সাংসদের গ্রামে এমন ‘ফতোয়া’ ঘিরে স্বভাবতই বিতর্ক এতটা গুরুতর রূপ নিয়েছে। যদিও শুক্রবারই দেব টুইট করে জানান, ‘এটা দেখার পর আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমার দলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাকে নিশ্চিত করেছেন এ কাজ তৃণমূলের কোনও সদস্যর নয়। কে কোন দল তা বড় কথা নয়, মানবিকতাই শেষ কথা। আমি কখনই কোনও বিদ্বেষ সমর্থন করি না। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন শুধু তাঁদের কাজ নয়, আমি সকলের কাজ করার শপথ নিয়েছিলাম। দয়া করে অকারণে দলের নাম নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। এমনিতেই একটা কঠিন সময় চলছে। শান্তি, ভালবাসা বজায় রেখে চলাটাই এখন কর্তব্য।’
?????? https://t.co/pJhiwAoFXR pic.twitter.com/a2MQQ9X9ZE
— Dev (@idevadhikari) June 4, 2021
আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিপাকে পড়তে হতে পারে ঘাটালের শ্রমিকদের, বিস্ফোরক ‘হুমকি’ শুভেন্দুর
শুক্রবার মহিষদায় ১৮টি পরিবারকে বয়কট করার হুঁশিয়ারি দিয়ে লিফলেট পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। ‘মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ১৭৬ ও ১৭৯ বুথ’-এর তরফে লিফলেটে ১৮ জনের নামে ফতোয়া জারি হয়। লেখা হয়, ‘পার্টির অনুমতি ছাড়া এই সমস্ত ব্যক্তিদের কোনও জিনিস বিক্রয় করা যাবে না। চা দোকানদারদের উদ্দেশে জানানো যায় এই ব্যক্তিদের চা দেওয়া যাবে না।’ অনুমতি ছাড়া দোকানদার মাল বিক্রি করলে কঠোর শাস্তির নিদানও দেওয়া হয়। এই পোস্টারকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামে বিজেপি। পাল্টা টুইটারে জবাব দেন দেবও। এরইমধ্যে শনিবার সকালে টুইট করেন দেশের অর্থমন্ত্রী।