AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিপাকে পড়তে হতে পারে ঘাটালের শ্রমিকদের, বিস্ফোরক ‘হুমকি’ শুভেন্দুর

শুক্রবার দলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ঘাটালের মনসুকা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান পুতুল পাত্র।

বিজেপি শাসিত রাজ্যে বিপাকে পড়তে হতে পারে ঘাটালের শ্রমিকদের, বিস্ফোরক ‘হুমকি’ শুভেন্দুর
ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 05, 2021 | 10:40 AM
Share

পূর্ব মেদিনীপুর: রাজ্যে ভোট মিটলেও হুমকির রাজনীতি চলছেই। বিজেপির এগিয়ে থাকা বুথের গ্রামপঞ্চায়েতে মানুষকে পরিষেবা দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে তৃণমূল প্রধানকে। বকলমে এমনই নাকি হুইপ জারি করেছিলেন ঘাটালের তৃণমূল নেতারা। শুক্রবার দলের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে বিডিওর কাছে পদত্যাগপত্রও জমা দেন ঘাটালের মনসুকা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুতুল পাত্র। এরপরই পাল্টা শঙ্কর দোলুইকে ‘হুমকি’ ছোড়েন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ঘাটাল থেকে গুজরাটে গেলে তৃণমূলের লোকজনকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে, শুভেন্দুর বক্তব্যে প্রচ্ছন্ন এমনই হুমকি।

শুক্রবার খড়গপুরে সাংবাদিকদের সামনে শুভেন্দু বলেন, “এই দেশটা কিন্তু চালাচ্ছে দল। ১৪টা রাজ্যে বিজেপি সরকার আছে। এ জিনিস চলতে থাকলে শঙ্কর দোলুইয়ের হয়ে যাঁরা ভোট করেছেন, গুজরাট-উত্তর প্রদেশে যাঁরা কাজ করছেন, সেখানে গিয়ে আমরা বলব ঘাটাল থেকে বিজেপির শীতল কপাটের চিঠি নিয়ে আসতে। সুরাটে শঙ্কর দোলুইয়ের বহু সমর্থক কিন্তু কাজ করেন। এটা যেন শঙ্কর দলুইদের মাথায় থাকে।”

দীর্ঘদিন পর ঘাটাল বিধানসভা হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। একুশের বিধানসভা ভোটে এ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। শীতল কপাট দু’বারের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলুইকে পরাজিত করেছেন। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই এলাকায় দু’ দলের মধ্যে চাপানউতরের অভিযোগ। এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তোলেন পুতুল পাত্র। শঙ্কর দোলুইকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। পুতুলের দাবি, শঙ্কর দোলুই-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা বিজেপির এলাকায় পরিষেবা বন্ধের জন্য বলেন। পাল্টা শঙ্কর দোলুইয়ের বক্তব্য ছিল, “একজন প্রধানের কিছু দায়িত্ব থাকে। আমরা বকাবকি করতেই পারি। তার জন্য এত ঔদ্ধত্যের কিছু হয়নি যে পদ ছেড়ে দেবে কাউকে না জানিয়ে।”

আরও পড়ুন: দিলীপ, কৈলাসদের তুলোধনা করলেও চন্দ্রিমার প্রশংসায় বিজেপির তথাগত

এদিকে এই ঘটনা নিয়ে শুক্রবারই মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিস্ফোরক বক্তব্য শোনা যায় তাঁর গলায়। এ প্রসঙ্গে শঙ্কর দোলুইয়ের মন্তব্য, “শুভেন্দুবাবুর ভুললে চলবে না তিনি নিজে বাঙালি। আমার মনে হয় উনি বাঙালি হয়েও বাঙালি বিদ্বেষী হয়ে যাচ্ছেন। বাঙালিকে ঘৃণা করছেন। যে বাংলায় তাম্রলিপ্ত সরকারের ইতিহাস আছে, সে বাংলা ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদীজীকে এবং অমিত শাহজীকে শিক্ষা দিয়েছে। এখানকার ঐতিহ্য আলাদা। কাজেই তিনি বাইরে বাঙালিকে দেখে নেবেন। তা হলে উনি তো বাঙালি, উনি কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন? আমার মনে হয় ঘাটাল কেন বাংলার মানুষকে বাইরে দেখার কিছু নেই। বাঙালিকে ঘৃণা করে কখনও কেউ বড় হতে পারে না।”