পূর্ব মেদিনীপুর: টানা ১৫ দিনের জন্য পূর্ব মেদিনীপুরে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দিল মৎস্য দফতর। আগামী ১৬মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন সমুদ্র উপকূলবর্তী একাধিক পয়েন্টে মিসাইলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশানের (ডিআরডিও)। সেই মতো মোট সাতটি অঞ্চলকে নির্দিষ্ট করেছে ডিআরডিও। মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, ওই দিনগুলিতে বেলা ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রের এই অঞ্চলগুলিতে কোনওভাবেই না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই সময় সমুদ্রে ‘ব্যান পিরিয়ড’চলছে। ফলে মৎস্য শিকারের কোনও বিষয় নেই। তবুও কোনওভাবে ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন।
এই নিয়ে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি দেবাশীস শ্যামল বলেন, “আমরা জুনপুটে মিসাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলে প্রথম থেকে দাবি জানিয়ে আসছি। গত ২৫ এপ্রিল ডিআরডিও ,প্রশাসনিক আধিকারিক , মৎস্যজীবী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডিআরডিও মিসাইল লঞ্চিং প্যাডের প্রভাব নিয়ে পরিস্কার ভাবে কিছু বলতে পারেনি। আমাদের অনুমান জুনপুট থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণের আগে চাঁদিপুর থেকে সমুদ্রে বিশেষ পরীক্ষা চালানো হবে। সে কারণে বিশেষ দিনগুলিতে সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।”
কাঁথি মৎস্য দফতরের সহ-মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্তকুমার প্রধান বলেন, “১৪ জুন পর্যন্ত ব্যান পিরিয়ডের কারণে সমুদ্রে মাছ শিকার বন্ধ রয়েছে। তারপরও কোনও ভাবে ডিআরডিও পরীক্ষার সময় যাতে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে না যান, সে জন্যে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ” তবে একইসঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন, কেউ যাতে অযথা আতঙ্কিত না হন।