দিঘা: এক বছর নয়, টানা ১৫ বছর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে লুকিয়ে ছিল খুনি। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের পাতা জালেই পড়ল ধরা। বাংলায় এল গোয়া পুলিশ (Goa Police)। সিনেমার কায়দায় চলল অভিযান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার সৈকত নগরী দিঘার (Digha) একটি হোটেলে হানা দেয় গোয়া পুলিশের একটি দল। সেখানেই আত্মগোপন করেছিল পলাতক জ্যাকসন ড্যাডেল। সূত্রের খবর, দীর্ঘ ১৩ বছর বেশি সময় ধরে দিঘায় একটি হোটেলে ম্যানেজারের পদে কাজ করছিলেন জ্যাকসন।
সূত্রের খবর, ২০০৫ সালে গডউইন ডি’সিলভা হত্যাকাণ্ড শোরগোল ফেলে গোয়া। মূল অভিযুক্ত হিসাবে পুলিশের খাতায় নাম ওঠে পানাজির বাসিন্দা জ্যাকসন ড্যাডেল। তদন্তে জানা যায় রুডলফ গোমস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মিলিত হয়ে গডউইনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন ড্যাডেল। ২০০৭ সালে গোয়া পুলিশ ড্যাডেলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মার্গো জুডিশিয়াল জেলে। তবে শাস্তি ঘোষণার আগেই ঘটে যায় আর এক কাণ্ড।
শাস্তি ঘোষণার আগেই ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঘটে যায় অদ্ভূত ঘটনা। যা সেই সময় গোয়ার নাগরিক মহলে বড় চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। জেলে ড্যাডেল, গোমস সহ আরও ১২ জন বন্দির পাহারায় দায়িত্বে ছিলেন বেশ কিছু নিরাপত্তাপরক্ষী। কিন্তু, ছক কষে নিরাপত্তা রক্ষীদের আহত করে পালাতে সক্ষম হয় বন্দিরা। তারপর থেকে আর খোঁজ মিলছিল না জ্যাকসনের। পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়া থেকে নানা রাজ্য ঘুরে বাংলায় ঘাঁটিগাড়ে জ্যাকসন। নাম পরিবর্তন করে দিঘায় থাকতে শুরু করে। রাজীব কাশ্যপ নাম নিয়ে দিঘার একটি ম্যানেজারের পদেও কাজ নিয়ে নেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে ধরার পর তাঁকে গোয়ায় নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।