পূর্ব মেদিনীপুর: ৩৪ কেজি ‘বারুদ’ উদ্ধার। পাঁশকুড়া থানার পশ্চিম চিলকা গ্রামের একটি বাড়িতে থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই বস্তা ভর্তি বারুদ। বেআইনিভাবে বারুদ মজুত করার অভিযোগে গ্রেফতার গোপাল ঘড়াই নামের যুবক। বিপুল পরিমাণ বারুদ কেন মজুত করেছিল, কোথা থেকে পেয়েছে, সে বিষয়ে যেমন কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ওই যুবক। কীভাবে এতটা বারুদ মজুত করল, পুলিশি নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও লাইসেন্সে কিংবা প্রয়জনীয় নথিপত্র দেখতে পারে নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই জেলায় জেলায় চলছে বিশেষ পুলিশি অভিযান।
কয়েকদিন ধরে রাজ্য জুড়ে চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান। সেই কারণে পুলিশের সব শীর্ষ কর্তাদের ছুটি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে আগামী ১০ দিনের জন্য। রাজ্যে কোথায় কোথায় বোমা বা বেআইনি অস্ত্র রাখা আছে, সেই তল্লাশি চালানো হবে। যে সব থানায় এই সব অভিযোগ বেশি আসে, সেই থানাগুলির আইসিদের কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে হবে পুলিশ কর্তাদের। সেই রিপোর্ট নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত বোমা-বন্দুক-গুলি আছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে উদ্ধার করে নষ্ট করতে হবে, ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে চলছে তল্লাশি।
সেদিনই রাতারাতি বীরভূমে উদ্ধার হয় বোমা। প্রায় ২০০ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয় বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে। বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও বোমা উদ্ধার হয়। বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হয় অস্ত্র।
রাজ্যের অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে সরব বিরোধীরাও। মুখ্য়মন্ত্রীকে বিঁধেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, “ভাঙড়ের সময়ে বলেছিলেন না, ওরা হচ্ছে আমাদের দলের সম্পদ। যে সকাল পর্যন্ত দলের সম্পদ ছিল, সে আপদ হল কী করে? বাংলায় কীভাবে এত অস্ত্র আসছে? তৃণমূল নেতা খুন হলেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। ”
আরও পড়ুন: LIVE: বনধে অশান্ত যাদবপুর, ৮বি-র সামনে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি