Haldia Dock: লাভের পরিমাণ ৩০৪ কোটি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও বিপুল লাভের মুখ দেখল হলদিয়া বন্দর

Kanishka Maity | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Apr 08, 2023 | 8:36 AM

Haldia Dock: গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় প্রায় আড়াই গুন বেশি লাভ হয়েছে বলে দাবি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

Haldia Dock: লাভের পরিমাণ ৩০৪ কোটি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও বিপুল লাভের মুখ দেখল হলদিয়া বন্দর
হলদিয়া ডক (ফাইল ছবি)

Follow Us

হলদিয়া: শিল্পতালুক হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে ভিত্তি হল হলদিয়া বন্দর। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর বা হলদিয়া বন্দর প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে বলে বন্দর সূত্রে খবর। গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় প্রায় আড়াই গুন বেশি লাভ হয়েছে বলে দাবি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্ব, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলির আর্থিক সঙ্কট। তার মধ্যেও পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণের জন্যেই হলদিয়া বন্দরের এই লাভ হয়েছে বলে মনে করছেন বন্দরের কর্তারা। হলদিয়ার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান আমল কুমার মেহেরা এই প্রসঙ্গে বলেন, এই অর্থবর্ষে বন্দরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা মুনাফা এসেছে, যা বিগত আর্থিক বর্ষের থেকে বেশ কিছুটা বেশি।

বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে শুধুমাত্র হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স ৫৮২ কোটি টাকা লাভ করেছিল। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের দুটি অংশ হল কলকাতা ডক সিস্টেম ও হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে প্রায় ৫০কোটি লাভ বাড়িয়ে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স ৬৩২ কোটি লাভ করলেও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দরের নিট লাভ বেড়ে হয় ৩০৪ কোটি টাকা। বন্দর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, নিট লাভের পরিমাণ এতটা বাড়ার কারণ হিসেবে পরিকাঠামোর উন্নয়ন ও ব্যয় সংকোচন।

বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি রাশিয়া ইউক্রেন সংঘাতের পাশাপাশি নেপাল, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কট, দক্ষিণ চিন সাগরে তৈরি হওয়া আন্তর্জাতিক সমস্যার কারণে পণ্য পরিবহনে কিছুটা ঘাটতি দেখা গিয়েছে। এছাড়াও হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের আভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে বন্দরের একটি বারথে সম্পূর্ণ ব্যবহার করাও সম্ভব হয়নি। তা স্বত্ত্বেও হলদিয়া ডক কমপ্লেক্স আগের আর্থিক বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ কোটি টাকার বেশি লাভের মুখ দেখেছে।

কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, স্যান্ড হেড এবং সাগরে ফ্লোটিং বা ভাসমান ক্রেন ব্যবহার করায় বড় জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে। গত আর্থিক বছরে এই কেপ সাইজ জাহাজের সংখ্যা ছিল ৩০টি, যা তার আগের আর্থিক বর্ষে মাত্র ১২টি ছিল। এছাড়া হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সে ভ্রাম্যমান ক্রেন ও কনভেয়ার বেল্টের মাধ্যমে জাহাজ থেকে পণ্য উত্তোলন করে সরাসরি পরিবহন কন্টেনারে বোঝাই করার ফলে দ্রুত পণ্য খালি ও বোঝাই করতে সক্ষম হচ্ছে বন্দর। অনেক বেশি জাহাজকে বন্দরে ঠাঁই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। দ্রুত পণ্য খালি করার সুবিধা থাকায় ও নাব্যতা কিছুটা বাড়ায় বেশ কিছু সংস্থা বন্দরের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।