
দিঘা: দিন পেরলেই দিঘা সাক্ষী থাকবে এক নতুন অধ্যায়ের। বাংলার জগন্নাথ ধাম থেকে মাসির বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। তারা না হয় মাসির বাড়ি যাবেন। কিন্তু আপনার দিঘা যাওয়ার পথ কি আদৌ রয়েছে? ছুটির দিন, তার মধ্যে আবার দিঘায় সদ্য তৈরি হওয়া জগন্নাথ মন্দিরের প্রথম রথযাত্রা। সব মিলিয়ে উৎসব মুখর হয়েছে সৈকত শহর।
যার জেরে সেখানে এবার ঠাসা ভিড়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জগন্নাথ মন্দির তৈরির পর থেকে দিঘায় থাকার জায়গা পাচ্ছেন না একাংশের পর্যটকরা। একে হোটেলের আকাশছোঁয়া দাম। অন্যদিকে, সস্তায় ঘর মিললেও, তাতে জায়গা নেই। আগে থেকেই কেউ বুক করে বসে রয়েছেন। এমনকি, কেউ যদি ভাবেন দিনের দিন গিয়ে ফিরে আসবেন, তাও যেন উপায় নেই। কারণ ট্রেনেও সিট পাওয়া এখন বিরাট কঠিন ব্যাপার।
তা হলে দিঘা যাবেন কীভাবে?
সড়ক পথে দিঘা ভ্রমণ
কোথাও টিকিট মিলছে না, সড়ক পথেই বেরিয়ে পড়ুন দিঘার উদ্দেশ্যে। যদি নিজের গাড়ি থাকে, তা হলে তো কেল্লাফতে। কিন্তু তা না হলে, তাতেও চিন্তার নেই। কারণ, অ্যাপ ক্যাবগুলি বলছে, একবার দিঘা যেতে খরচ প্রায় ৩ হাজার টাকা। আর দিনের দিন ফিরলে ৫ হাজারেই মিটে যাবে ভ্রমণ পর্ব। কেউ যদি হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে দিঘার উদ্দেশ্যে বের হন, সেক্ষেত্রেই এই ভাড়া প্রযোজ্য।
এছাড়াও রয়েছে বাস পরিষেবা। সস্তায় পুষ্টিকর। ট্রেনে কোনও মতেই টিকিট মিলছে না, এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভাল ভাবে সৈকত শহরে পৌঁছে দিতে পারে বাস। যা এখন বাংলার প্রায় প্রতিটি এলাকা থেকে ছাড়ে। বরাবরই গোটা বাংলা-সহ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিকে রুটে যুক্ত করা বাসগুলির কেন্দ্রস্থল বাবুঘাট। কিন্তু এখন পর্যটন বাড়াতে বর্ধমানের মেমারি, পাণ্ডুয়া থেকেও দিঘার দিকে রওনা দিয়েছে বহু রাজ্য সরকারি বাস।
সস্তায় যাওয়ার উপায় নেই?
আলবাত রয়েছে্। দিঘায় যাতায়াতে খরচ হবে মাত্র ১০০ টাকা। নিয়ে যাবে লোকাল ট্রেন। হাওড়া থেকে দিঘার এক যাত্রার টিকিটের দাম মাত্র ৪৫ টাকা। তবে এক টানা যাত্রা কিন্তু সম্ভব নয়। প্রথমে হাওড়া থথেকে উঠে পড়তে হবে মেচেদা বা পাঁশকুড়া লোকালে। সেখানে পৌঁছনোর পর সকাল ৮টা ০২ মিনিটে মেচেদা থেকেই উঠে পড়তে হবে দিঘার উদ্দেশ্যে যাওয়া লোকাল ট্রেনে।