পূর্ব মেদিনীপুর: একদিন হল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি পদে বসেছেন ডঃ সৌমেন মহাপাত্র (Soumen Mahapatra)। পদে বসেই কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য সরকারের মন্ত্রী। নিমতৌড়িতে জেলা কোর কমিটির মিটিংয়ে সভাপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জেলার যেসব তৃণমূল নেতারা গোপনে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত রেখে চলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
বুধবারই জেলা সভাপতি পদ থেকে বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারীকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় বসানো হয়েছে ডঃ সৌমেন মহাপাত্রকে। নব সভাপতির ডাকে কোর কমিটির বৈঠকে গিয়েছিলেন জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, নন্দীগ্রামের নেতা শেখ সুফিয়ান, মামুদ হোসেন-সহ আরও অনেক জেলাস্তরের নেতৃত্ব।
সেই মিটিংয়ে জেলা সভাপতি ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সম্পর্কে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেতাদের। সৌমেন মহাপাত্র নন্দীগ্রামে সভায় জনপ্লাবন করার আহ্বান করেছেন। পাশাপাশি জেলার যেসব নেতারা এতদিন মাথা তুলে কাজ করতে পারছিলেন না তাঁদেরও সভূমিকায় কাজ করার কথা জানিয়েছেন সৌমেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা কো-অর্ডিনেটর তথা মুখপাত্র মামুদ হোসেন জানান, যেসব কর্মীরা গোপনে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বা প্রকাশ্যে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে মিটিংয়ে। এদিন কোর কমিটির বৈঠকের পরে জেলা শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা নিয়ে পুলিস সুপার পরভিন প্রকাশের সঙ্গেও দেখা করেন সৌমেন, মামুদ, অখিলরা।
আরও পড়ুন: লালার বাড়িতে সিবিআইয়ের নোটিস, সময় বেঁধে দিল এক মাস
বিশ্লেষকদের মতে, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সামান্য হলেও বিপাকে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সংগঠন। কার্যত অধিকারীদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতেই শিশির অধিকারীকে অপসারিত করা হয়েছে ডিএসডিএ ও জেলা সভাপতি পদ থেকে। এমতাবস্থায়, বিজেপির সঙ্গে যাঁদের গোপন আঁতাত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বারবার শিশির অধিকারীকে বিজেপিতে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। যার জেরে ক্রমেই বাড়ছে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক উত্তাপ। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে রাজ্য-রাজনীতিতে।