Mid Day Meal controversy: কুকুরকে মিড ডে মিল খাওয়ানো নিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব রাজ্যের
Mid Day Meal controversy: বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় স্কুল। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। প্রধান শিক্ষকের কার্যকলাপে যখন ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন তাঁরা, তখন ক্ষমা চাইলেন ওই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন মাইতি।
ভগবানপুর: বাড়ির পোষা কুকুরকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষক। শিশুদের জন্য তৈরি হওয়ায় মিড ডে মিলে ভাগ বসায় সেই কুকুর। এমন অভিযোগ সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। পূর্ব মেদিনীপুরে ভগবানপুরের এই ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এসআই-কে পুরো বিষয়টা খতিয়ে দেখে লিখিত আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের কার্যকলাপে যখন ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকরা, তখন ক্ষমা চাইলে ওই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভূপতি রঞ্জন মাইতি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া খালসাইড প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ ওঠে। স্কুল পড়ুয়ারা জানায়, তারা দেখেছে যে হেড স্যরের পোষা কুকুর স্কুলে আসে ও খাবারের থালা পর্যন্ত চেটে চলে যায়। এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন পড়ুয়াদের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে প্রধান শিক্ষককে সালিশিসভায় বসানোর সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় স্কুল। প্রধান শিক্ষককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। সালিশিসভার মাঝেই উঠে চলে যান প্রধান শিক্ষক। এই ঘটনা নজরে আসে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, “প্রধান শিক্ষক কুকুর নিয়ে স্কুলে আসছেন বা কুকুরকে মিড ডে মিল খাওয়াচ্ছেন, এই সব ঘটনা অভিপ্রেত নয়। আমরা অবিলম্বে রিপোর্ট তলব করছি।” এদিকে অভিভাবকদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার পর প্রধান শিক্ষক নিজের ভুল স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমর মাত্র চার বছর চাকরি আছে।”