Mid Day Meal: মিড ডে মিলের থালা চেটে যায় প্রধান শিক্ষকের কুকুর, প্রতিবাদ করতেই বেধড়ক মার সহ শিক্ষককে!
Mid Day Meal: ক্যামেরা দেখেই বেজায় চটে যান অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। কোনওভাবেই মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি। এরপর গ্রামবাসীদের ডাকা সালিশিসভাতেও চলে তুমুল ঝগড়া। সালিসিসভা ছেড়ে চলে যান প্রধান শিক্ষক।
পূর্ব মেদিনীপুর: শিশুদের যেখানে মিড ডে মিলে খাওয়ানো হয় সেখানেই বসে থাকে প্রধান শিক্ষকের পোষা সারমেয়। শুধু তাই নয়, ওই কুকুরকে থালা চাটতে দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগ পড়ুয়াদের। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই মার খেতে হল সহ শিক্ষককে। এমনই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া খালসাইড প্রাথমিক স্কুলে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী স্কুলে গিয়ে ওই অনুপম জানা নামে ওই সহকারী শিক্ষককে মারধর করেছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানান স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে। কুকুরের জন্য পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে গেলে, তার দায়িত্ব কে নেবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অভিভাবকেরা।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। দফায় দফায় বিক্ষোভ চলে স্কুল চত্বরে। আর ক্যামেরা দেখেই বেজায় চটে যান অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। কোনওভাবেই মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি। এরপর গ্রামবাসীদের ডাকা সালিশিসভাতেও চলে তুমুল ঝগড়া। সালিসিসভা ছেড়ে চলে যান প্রধান শিক্ষক। গ্রামবাসীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অর্নিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে ওই প্রাথমিক স্কুল।
এক অভিভাবিকা বলেন, “স্কুলে ছেলেমেয়েরা দেখেছে কুকুর গিয়ে থালা চাটছে। এরপর যদি পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ে, তার দায়িত্ব কে নেবে?” অনুপম জানা নামে ওই শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের বাড়ির কুকুর যেভাবে খাওয়ার জায়গায় বসে থাকে, তাতে প্রথম থেকেই আপত্তি জানিয়েছেন তিনি। এরপর একদিন হঠাৎ করেই প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী শাশ্বতী মাইতি তাঁর ওপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। অনুপম বাবু জানান, তাঁকে চড়, ঘুষি মারতে থাকেন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী। চরিত্র, মানসিক অবস্থার কথা বলেও গালিগালাজ করতে থাকেন বলে অভিযোগ। অনুপম বাবুর দাবি, সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই গ্রামবাসীরা সালিশিসভা বসানোর উদ্যোগ নেয়।