দিঘা: যেহেতু পড়শি রাজ্য ওড়িশায় আঘাত হেনেছে সাইক্লোন দানা। শুরু থেকেই তাই আশঙ্কা করা হয়েছিল সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুরে। বিশেষত উপকূলবর্তী অঞ্চল দিঘা, মন্দারমণি, জুনপুটের জায়গাগুলিতে ঝড়ের দাপট চলবে, এমনটাই আশঙ্কা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সেই প্রবল দাপট না চললেও আবহাওয়া যে বদলাচ্ছে, তা স্পষ্ট। মধ্যরাতে জলোচ্ছ্বাসও বেড়ে যায় দিঘায়। শুক্রবার সকালে সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের যেতে দিচ্ছে না প্রশাসন।
বলা যায় ‘দানা’র ঝাপট থেকে কোনও ক্রমে বেঁচেছে পূর্ব মেদিনীপুর। পড়শি রাজ্য ওড়িশার ভিতরকণিকা, বালেস্বর, ভদ্রক সহ সামগ্রিক এলাকা জুড়ে চলেছে ল্যান্ডফল। তার জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সৈকত উপকূলে বইছে ঝড়ো হাওয়া। সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিও। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় অর্থাৎ ল্যান্ডফল শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সমুদ্র ফুলে ফেঁপে ওঠে। দেখা যায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস।
তবে, সকালে সেই ঢেউয়ের বাড়াবাড়ি নেই। দিঘার আবহাওয়া ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাচ্ছে। কখনও আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, আবার কখনও কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে সমুদ্রের আকাশ। এমন খামখেয়ালি আবহাওয়ায় সমুদ্রের কাছে যাওয়া নিরাপদ নয় বলেই মনে করছে পুলিশ প্রশাসন। তাই সমুদ্রপ্রেমীদের আটকাতে সচেষ্ট প্রশাসন।
এদিকে, জেলায় ঝড়ের যা প্রভাব পড়েছে, তাতে অন্য কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও চাষের ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। প্রভাব পড়তে পারে ফুল চাষে, সবজি চাষে। ঝড়ে পড়ে গিয়েছে ছোট ছোট গাছ। সেই ক্ষতি পূরণ করা কৃষকদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।