
এগরা: অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর পরিবার। শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধেও উঠেছে অভিযোগ। এগরা থানার এরেন্দাবাদ এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মৃত গৃহবধূর নাম যমুনা জানা পাল। তাঁর বাবা শিবু জানা। পড়শি জেলা পশ্চিম মেদনীপুরের দাঁতনের মেনকাপুর এলাকার বাসিন্দা তাঁরা। গ্রামের স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর প্রায় বছর দেড়ের আগে দেখাশোনা করে যমুনার বিয়ে দেওয়া হয় এরেন্দাবাদ এলাকার যুবক সৌগত পালের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সৌগতর পানের ব্যবসা রয়েছে।
যমুনা ৮ মাস আগে অন্তঃসত্ত্বা হয়। সেই অন্তঃসত্ত্বা বধূকেই হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শাশুড়ি দূর্গা পালের অবৈধ সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেছিলেন যমুনা, তাই তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। গৃহবধূর বাবার অভিযোগ, শাশুড়ির সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন নববধূ যমুনা। আর তার জেরেই তাঁকে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ।
কান্নায় ভেঙে পড়ে বাবা শিবু জানা অভিযোগ করে বলেন, মেয়ের শ্বশুর গৌরাঙ্গ পাল প্রতিবন্ধী ছিলেন। আর তার মধ্যেই বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পনের দাবিতে মেয়ের ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। এমন অবস্থায় শাশুড়ির পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করেছিল মেয়ে। আর তার জন্য যে এভাবে আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে ওরা খুন করে ফেলবে তা কখনোই ভাবতে পারিনি। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। সমগ্ৰ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত ও অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে এগরা থানার পুলিশ।