Murder: কাঁথির রাস্তায় সবার সামনেই স্ত্রীকে কোপাল স্বামী, কারণ জানালেন তৃণমূল কাউন্সিলর
Murder: শুক্রবার সকালে বর্ণালী দেবী তাঁর মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে আসেন। তখনই বাইকে করে কাঁথি স্কুল বাজারে আসেন স্বামী বাপ্পাদিত্য।
কাঁথি: ভরদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রীকে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার কাঁথি (Kanthi) শহরে। সূত্রের খবর, এদিন আচমকা ব্যস্ত রাস্তাতেই স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন বাপ্পাদিত্য রায়। একের পর এক কোপ মারতে থাকেন স্ত্রী বর্ণালী রায়কে (৩৭)। মুহূর্তেই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁর চিৎকারই ছুটে আসেন পথচারীরা। তাঁরাই রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার বাড়ি কাঁথি থানার মনসাতলা এলাকায়। সূত্রের খবর, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল দীর্ঘদিন থেকে। শুক্রবার সকালে বর্ণালী দেবী তাঁর মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় একটি স্কুলে আসেন। তখনই বাইকে করে কাঁথি স্কুল বাজারে আসেন স্বামী বাপ্পাদিত্য। ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্ত্রীর বুকে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই বধূ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠালে ততক্ষণে এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত স্বামী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁথি থানার পুলিশ। কাঁথি শহর থেকে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। বাপ্পাদিত্য হোমগার্ডের কাজ করেন বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে কাঁথি থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ঠিক কী কারণে স্ত্রীকে খুন করলেন ওই ব্যক্তি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ না করা পর্যন্ত কিছুই জানা সম্ভব হচ্ছে না।” এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “প্রকাশ্য দিবালোকেই আজ এ ঘটনা ঘটে যায়। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ছুরি দিয়ে স্ত্রীর উপর হামলা চালান ওই ব্যক্তি। আমরা যতদূর জানি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। প্রায় ৪-৫ ধরে ঝামেলা চলছে। দুজনে একসঙ্গে থাকে না। ওদের মেয়ে রয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। সে মামার বাড়িতে থাকে। স্বামী সম্ভবত প্রশাসনিক দফতরে কাজ করেন বলে শুনেছি। পুলিশে কাজ করে।”
কাঁথি পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর অতনু গিরি বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই সমস্যা ছিল। আমরা বসে আলোচনার মধ্যে তা মেটানোরও চেষ্টা করেছি একাধিকবার। কিন্তু, তারপরও কোনও সমাধান হয়নি। ওর স্ত্রী বাপের বাড়িতে থাকত অনেকদিন থেকে। কাঁথিতে আগে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এখন ওদের বাচ্চা মেয়েটির জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় আমরা দেখছি।”