
পাঁশকুড়া: কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ প্রাক্তন পোস্ট মাস্টরের বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে ইডি-র অভিযান। ৮ সেপ্টেম্বর পোস্ট মাস্টার লক্ষ্মণ হেমব্রমকে আবারও তলব সিজিওতে। যদিও, এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি গোয়েন্দা আধিকারিকরা। মঙ্গলবার পাঁশুকুড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মণ হেমব্রমের বাড়িতে আসে ইডি-র ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সেই সঙ্গে বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান।
জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণ হেমব্রমের আদি বাড়ি পাঁশকুড়ায় নস্করদিঘিতে। সেখান থেকেই কয়েক বছর আগে পাঁশকুড়া পৌরসভায় জায়গা কিনে প্রসাদসমান বাড়ি তৈরি করেন প্রাক্তন এই পোস্ট মাস্টার। এর আগেও তাঁকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে চিঠির উত্তর দিলেও হাজিরা দেননি তিনি।
সালটা ২০১৮। সেই সময় পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার রামচন্দ্রপুর পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার ছিলেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা লক্ষণ হেমব্রম। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন পাঁচ বছরে প্রায় কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০১৯ সালে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় কোলাঘাট নতুন বাজার পোস্ট অফিস থেকে। তবে রামচন্দ্রপুরে পোস্টমাস্টার থাকাকালীন তাঁর নামে অভিযোগ উঠলে ২০২০ সালে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিনে ছাড়া পায় অভিযুক্ত।
লক্ষ্মণ হেমব্রম বলেন, “ওনারা আগে একটা চিঠি পাঠিয়ে ডেকেছিলেন। তার উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু যাইনি। এবার ওরা চিঠি না পাঠিয়ে সরজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছিল।”