Panskura Crime: এর আগেও দু’বার হামলা, স্বর্ণব্যবসায়ী খুনে উঠে আসছে নতুন তথ্য
Pashkura: নিহতের বাবা সুকুমার পড়িয়া বলেন, "একবার ডাকাতি হয়েছিল সোনার দোকানে। ৫-৭ বছর আগের ঘটনা। তারপর একবার গেট খুলে ঠাকুরের জল আনতে গিয়েছিল, ব্যাগ হাওয়া হয়ে যায়। ও পিছু ধাওয়া করে। বন্দুক দেখায় বলে চলে আসে। এবার শেষ করে দিয়ে গেল। যদি পায়ে হাতেও গুলি করত আমাদের কোনও চিন্তা ছিল না। একেবারে শেষ করে দিল।"
পূর্ব মেদিনীপুর: স্বর্ণব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় সামনে আসছে নয়া তথ্য। অভিযোগ, এর আগেও স্বর্ণব্যবসায়ী সমীর পয়ড়্যার উপর হামলার চেষ্টা হয়। পাঁশকুড়া থানায় এফআইআরও দায়ের করা হয়। প্রথমবার সোনার দোকানে লুঠের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। দ্বিতীয়বার দোকান থেকে ১০ লক্ষ টাকা ভর্তি ব্যাগ লুঠ করে দুষ্কৃতীরা পালায়। সেই সময় ডেবরা অবধি ধাওয়াও করেন সমীর। তবে বন্দুক দেখানোয় পালিয়ে আসতে বাধ্য হন এই ব্যবসায়ী। তৃতীয়বার সোনা-রুপো ও নগদ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা লুঠ হয়। পরিবারের লোকজনের দাবি, ব্যক্তিগত শত্রুতা না থাকলেও ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
পাঁশকুড়া থানার উত্তর জিয়াদা গ্রাম। সেখানেই সোমবার রাতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন সমীর পয়ড়্যা। তাঁর সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। তাতে ছিল সোনা। সঙ্গে নগদ টাকাও। অভিযোগ, মাঝ রাস্তায় কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। এরপরই সমীরকে লক্ষ্য করে চলে গুলি।
ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে স্বর্ণব্যবসায়ীর দেহ। এরপরই তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। এর আগেও যখন ওই ব্যবসায়ীর উপর হামলা হয়েছে, তাহলে তাঁর নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী ব্যবস্থা ছিল? পুলিশে যেহেতু অভিযোগ হয় বলে দাবি করা হয়েছে, তারাই বা কী পদক্ষেপ করেছে?
নিহতের বাবা সুকুমার পড়িয়া বলেন, “একবার ডাকাতি হয়েছিল সোনার দোকানে। ৫-৭ বছর আগের ঘটনা। তারপর একবার গেট খুলে ঠাকুরের জল আনতে গিয়েছিল, ব্যাগ হাওয়া হয়ে যায়। ও পিছু ধাওয়া করে। বন্দুক দেখায় বলে চলে আসে। এবার শেষ করে দিয়ে গেল। যদি পায়ে হাতেও গুলি করত আমাদের কোনও চিন্তা ছিল না। একেবারে শেষ করে দিল।”