কাঁথি: এক ছাত্রের সাইকেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা। প্রধান শিক্ষককে স্কুলে ঢুকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় একদল ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনাটি ব্যাপারে জুনপুট কোস্টাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক বসন্তবাবু। ঘটনায় আতঙ্কিত তিনি। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। স্কুলের শাক্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ পুলিশের কাছে।
ঘটনাটি ঘটেছে,পূর্ব বর্ধমানের কাঁথি-১ ব্লকের সুধীর কুমার হাইস্কুলের ঘটনা। স্কুল সূত্রে খবর,গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা চলছিল। তারই সঙ্গে সরস্বতী পুজোর প্যান্ডেল তৈরিরও কাজ ছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি,এ জন্য স্কুলের গেট খোলা রাখছিল ওই ক’দিন। তারই মধ্যে ৩০ জানুয়ারি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপর গত ১ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রের অভিভাবক-সহ জনা দশেক লোক এসে জড়ো হন স্কুলে। কেন স্কুল ক্যাম্পাস থেকে সাইকেল চুরি হবে,এই প্রশ্ন তুলে প্রধান শিক্ষককে অপমান করেন তাঁরা।
এরপর ফের বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ আবেদনপত্র নিয়ে হাজির হন ওই ছাত্রের মা। প্রধান শিক্ষক ওই দিনের বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িতদের নাম আবেদনপত্রের সঙ্গে লিখে দেওয়ার কথা বলেন। নচেৎ আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। ওই আবেদনপত্র জমা না করেই বাড়ি ফিরে যান মহিলা। অভিযোগ,তার পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে ৩ টা নাগাদ ছাত্রের দাদা পরিচয়ের বকসিসপুরের বাসিন্দা একব্যক্তি সদলবলে এসে হাজির হন স্কুলে। তারপর ছাত্রাবাসে কর্তব্যরত প্রধান শিক্ষক সহ স্কুলের কর্মীদের হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। স্কুলে ঢুকে পনেরো মিনিট ধরে পড়ুয়া ও হোস্টেল কর্মীদের সামনে তাঁকে হেনস্তা করেন একদল এমনি অভিযোগকারী প্রধান শিক্ষক। প্রধানশিক্ষক বসন্ত কুমার ঘোলুই বলেন, “আমরা বলেও ছিলাম নতুন সাইকেল কিনে দেওয়া হবে। তার ক্যাশমেমো জমা দিতে। তারপরই নিগ্রহ করা হল।”
পুলিশের এক আধিকারিক জানান,অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রামনগরের ডিএসপি আবু নুর হোসেন। ঘটনা প্রসঙ্গে এক ছাত্র বলেন, “কালকে যখন ঘুমিয়েছিলাম। আমাদের হস্টেলে ঢুকে গণ্ডগোল করছে। মারবে বলছে।”