কাঁথি: ‘কে জিতবে কাঁথি লোকসভা?’ কোটি টাকার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে অপেক্ষা করতে হবে আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা। তবে কাঁথির সম্ভাব্য ফল কী হতে পারে তা নিয়েই এখন সরগরম কাঁথির প্রত্যেকটি অলিগলি, চায়ের ঠেক রাজপথ। বাদ যায়নি পাড়ার ক্লাবও। কারণ এই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয় সৌমেন্দু কাঁথির হ্যাট্রিক করা সাংসদ শিশির অধিকারীর ছোট ছেলেও বটে। অপরদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের তৃণমূল কংগ্রেসের পরীক্ষিত সৈনিক তথা পটাশপুর বিধানসভার বিধায়ক ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক।
সারা রাজ্যের একাধিক সমীক্ষা যখন বলছে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সেই সময় সমস্ত এক্সিট পোলের সমীক্ষা উড়িয়ে দিয়ে উত্তম বারিকের দাবি, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত। উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেছেন, ২০২১ সালে তিনি যে পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন, সমস্ত সমীক্ষায় তা উল্টো দেখানো হয়েছিল। আবার ২০২৩ এ (২০২১ এর বিধানসভার নিরিখে) বিজেপির শক্ত ঘাঁটি খেজুরি থেকে তিনি জেলা পরিষদ আসনে জয়যুক্ত হয়েছেন। তখনও সমীক্ষায় দেখানো হয়েছিল তিনি হারছেন। তাই তিনি বলেছেন,”বিভিন্ন সমীক্ষা করা হয় প্যাকেট(টাকা দিয়ে) ভিত্তিক হয়েছে)। ২০২১ এ কোনও সমীক্ষায় বলেনি পটাশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করবে। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেউ বলেনি, খেজুরির ৫৫ নম্বর জেলা পরিষদ আসন তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করবে।”
কাঁথি নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে যেমন মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস । ঠিক অধিকারীদের তেমনই নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা। ফলত কাঁথি লোকসভা আসনে লড়াই সেয়ানে সেয়ানে ও হাড্ডা হাড্ডি যে হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর এমনটাও মনে করছেন জেলা রাজ্যের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের একাংশ।
তবে, ভোটের ফল যাই হোক না কেন তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তার লেস নেই বললেই চলে উত্তমের। ভোটের পরই রোমাল ঝড়ে সৈকত নগরী দীঘায় যেমন তাঁকে দেখা গিয়েছে নিশ্চিন্তে সভাধিপতির দায়িত্ব পালন করতে, ঠিক তেমনি ভোট প্রচারের পরও নিজের বাইকে করে গোটা এলাকায় স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। কারণ তিনি একশো ভাগ আশাবাদী কাঁথি লোক সভা কেন্দ্র থেকে শেষ হাসি হাসবে তৃণমূল কংগ্রেস।
অপর দিকে ফল ঘোষণার আগের দিনও নিজেকে কর্মী ও নেতৃত্বের সাথে ব্যাস্ত দেখা গেল কাঁথির দলীয় জেলা কার্যালয়ে। জেলা সভাপতির বিধায়ক এবং কর্মীদের সঙ্গে কাউটিং সেন্টারের এজেন্ট সহ নানা বিষয়ে তদারকি করছেন এই তরুণ প্রার্থী নিজেই। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ১০০%। আর গণনা কেন্দ্রে যাতে শাসকদল কারচুপি করতে না পারে সেই দিকেও বিশেষ নজর থাকবে বলে জানান সৌমেন্দু। কিন্তু ফল ঘোষণার আগে তিনি যে কিছুটা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তা ও নিজমুখে স্বীকার করে নেন। ভোটের পর হিংসা করার জন্য শাসকদল থাকবে না বলেও দাবি করেন বিজেপি প্রার্থীর