পূর্ব মেদিনীপুর: প্রতিটি ব্লকে ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ১০০ দিনের কাজের সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের তেখালিবাজারে সেরকমই তৃণমূল কংগ্রেসের সহায়তা কেন্দ্রে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকি গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রীকে মারধর করার অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর-ও দায়ের করে পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেত্রী। সে দিনের ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের সহায়তা কেন্দ্রে হামলার এদিন নন্দীগ্রামের গোকুলনগর সহায়তা কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। ছিলেন জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান, ব্লক সভাপতি-সহ একাধিক তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই সঙ্গে কর্মীদের সঙ্গে ওই দিনের ঘটনার কথা সম্পূর্ণ শোনেন। কথা বলেন কর্মীদের সঙ্গে।
নন্দীগ্রাম দলীয় কার্যালয়ে থেকে বাজার হয়ে নন্দীগ্রাম থানা পর্যন্ত মৌন প্রতিবাদ মিছিল করেন। চলে থানায় অবস্থান বিক্ষোভও। অবস্থান-বিক্ষোভে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “ইডি-সিবিআই লাগিয়ে আমাদের দলের লোকেদের যদি বাড়িতে থাকতে দেওয়া না হয়, ওঁদের লোকেরাও বাড়িতে থাকবে না। যাঁরা হামলা করেছেন, যাঁদের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। নইলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অজিতকুমার মাইতির বক্তব্য, “ওদের কর্মীরা তো চুরি করেছে। চোরের মায়ের বড় গলা। ওদের নিজের পুলিশের বিরুদ্ধেই অবস্থানে বসতে হচ্ছে। এর থেকে বড় কথা আর কী আছে!”