তমলুক: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড় ভাল হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে মোটেই ভাল হয়নি শাসকদলের। তমলুক ও কাঁথি এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে হারতে হয়েছে তৃণমূলকে। এবার শুভেন্দুর গড়ে এসে বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ। ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি দেখতে এসে তৃণমূল নেতা বললেন, “আমরা খাল কেটে কুমির নিয়ে চলে এসেছি। তার বিচার পরে হবে।”
মঙ্গলবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা ছিল। সেখানে আজ আসেন কুণাল ঘোষ। বলেন, “২৯ টা কেন্দ্রে সবুজ আবির উড়লেও কাঁথি ও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তা হল না সেটা আমাদের আফসোস।” তৃণমূল নেতা এও বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা পরে করবো। আগে আমাদের ঘর সামলাতে হবে। ব্যর্থতা খুঁজতে হবে। যদি সবাই বড় নেতা হন তাহলে কেন জেতা হল না দুটো আসন। কীসের জন্যই বা দুটো আসন যেতা গেল না? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেন,কেন,কেন,কেন, এই দু’টো জেতা সম্ভব হয়নি?”
তৃণমূল নেতা এও বলেন, “বাকি ২৯ টা জায়গা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে। কাঁথি-তমলুকও একইভাবে পেয়েছে। তাহলে এই দু’টো সিট কেন জেতা গেল না ? কিছু কিছু জায়গায় আমাদের ভুল হয়েছে। আমি ঠিক না আপনি ঠিক! এই বিচার করতে গিয়ে আমরা খাল কেটে কুমির নিয়ে চলে এসেছি। এই ইগো রাখা যাবে না। একুশে জুলাই জনস্রোত করুন। তারপরে দেখবেন পুরো খোলনলচে পাল্টে ফেলা হয়েছে।”
এদিনের ২১শে জুলাইয়ে প্রস্তুতিতে জেলার সর্ব স্তরের নেতৃত্ব ও মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকলেও উল্লেখ যোগ্য ভাবে অনুপস্থিত ছিল জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা পটাসপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক।