Laxmi Bhandar: লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ৫০০ আসার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫০০০ টাকা!

Fraud Case: অভিযোগ, গত ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রামে দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) শিবিরের আয়োজন হয়। সেই শিবির থেকে ফর্ম নিয়েই পূরণ করে গুছিয়ে জমা দিয়েছিলেন ওই ছয়জন। কিন্তু, আবেদন করার পরেও ফোনে কোনও মেসেজ পাননি তাঁরা

Laxmi Bhandar: লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ৫০০ আসার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ৫০০০ টাকা!
অভিযোগকারিণী, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 18, 2021 | 12:07 AM

মহিষাদল: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmi Bhandar) মাসিক ৫০০ টাকা পাওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar) থেকেই ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন  ছয় মহিলা। কিন্তু, সেই টাকা হাতে পাওয়ার আগেই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গেল ৫০০০ টাকা! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি মহিষাদলের এক্তারপুর গ্রামে।

অভিযোগ, গত ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রামে দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) শিবিরের আয়োজন হয়। সেই শিবির থেকে ফর্ম নিয়েই পূরণ করে গুছিয়ে জমা দিয়েছিলেন ওই ছয়জন। কিন্তু, আবেদন করার পরেও ফোনে কোনও মেসেজ পাননি তাঁরা। আশেপাশের সকল মহিলা টাকা ঢোকার বার্তা পেলেও তাঁদের ফোনে তেমন কোনও আবেদন আসেনি। ছয়জনই তাই ফের  ক্যাম্পে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেখানে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর নেওয়া হয়। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর ওই ছয় মহিলার বাড়ি বাড়ি যান এক যুবক। অভিযোগ সেই যুবক নিজের বিডিও অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দেন। বাড়িতে গিয়ে কাগজপত্র নেওয়ার পাশাপাশি বায়োমেট্রিক মেশিনে আঙুলের ছাপও তুলে নিয়ে যান ওই যুবক।

ঘটনার একদিন পরেই আচমকা ওই ছয় মহিলা আবিষ্কার করেন তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কাটা হয়েছে। তাঁদের ছয়জনের অ্যাকাউন্ট  থেকে ৫০০০ টাকা করে মোট ২৬ হাজার ৫০০ টাকা খোয়া গিয়েছে। এতেই মাথায় হাত পড়ে তাঁদের! সকলেই বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই মহিষাদল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনায় অভিযুক্ত গোপালপুরের বাসিন্দা তুষার অধিকারী নামে একজনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

মহিষাদল ব্লকের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, “ঘটনার খবর পেয়েছি। অভিযুক্তের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে পদক্ষেপ করবে। আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই দুয়ারে সরকারের শিবির করেছি। গোটাটাই এখন তদন্তসাপেক্ষ।” তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুখে কুলুপ এঁটেছে শাসক ও বিরোধী শিবির।

প্রসঙ্গত, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’ এই প্রথম নয়। সরকারিভাবে প্রকল্প চালু হওয়ার কথা ঘোষণার পর থেকেই ধূপগুড়ি, মালদা-সহ একাধিক এলাকায় এই দুর্নীতির ছবি সামনে এসেছে। এমনকী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তুলতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছেন এই ছবিও ধরা পড়েছে। কোথাও বা প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগও সামনে এসেছে। সম্প্রতি, বিজেপি রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছেন, “বাংলার মানুষকে ভিখারি বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫০০ টাকার জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছে। মারপিট করছে। পদপিষ্ট হচ্ছে।”

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম নিয়ে যাতে কোনওরকম দুর্নীতি না হয় সে প্রসঙ্গে আগে থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনভাবেই সেই ফর্ম ফোটোকপি করা যাবে না একথাও জানিয়েছিলেন মমতা। প্রত্য়েক ফর্মে নির্দিষ্টি ইউনিক কোড থাকবে। সেই ইউনিক কোড প্রত্যেক ফর্মের ক্ষেত্রে আলাদা হবে। পাশাপাশি, গ্রাহকদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও থাকতে হবে তবেই মিলবে ফর্ম এমনই নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির একাধিক ছবি সামনে আসায় নড়েচড়ে বসেছে সরকার। সরকারি কর্মচারি ও সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠকও সেরেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘কেউ তো বলেনি আপনি মেরেছেন, ননসেন্সের মতো কথা’, শিশুমৃত্যুতে দিলীপের নিশানায় ববি!

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: মেয়েদের পায়ে বেড়ি দিতেই কি ‘শরিয়ত’! কেন এত ভরসা তালিবানের?