Nandigram CPIM: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জমি শক্ত করতে মরিয়া সিপিএম, লাল পতাকা লাগিয়ে কৃষি জমিতে চাষ বাম কর্মীদের

Purba Medinipur: পূর্ব মেদিনীপুরের জমি আন্দোলনের ভিত একসময় নাড়িয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে কার্যত অক্সিজেন ফিরে পেতে জমিতে লালঝাণ্ডা হাতে নিয়ে চাষের কাজ শুরু করলেন একাধিক কৃষক পরিবার।

Nandigram CPIM: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জমি শক্ত করতে মরিয়া সিপিএম, লাল পতাকা লাগিয়ে কৃষি জমিতে চাষ বাম কর্মীদের
লাল পতাকা লাগিয়ে কৃষি জমিতে চাষ বাম কর্মীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 12:43 PM

নন্দীগ্রাম: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ডান থেকে বাম প্রত্যেকে নিজেদের মাটি শক্ত করতে প্রস্তুত। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। এবার কৃষি জমিতে লাল পতাকা লাগিয়ে চাষ শুরু করলেন বাম কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এই সব জমি জোর করে দখল নিয়েছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ফের পুর্নদখল করে চাষাবাদ শুরু করলেন তাঁরা। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, জনরোষেই জমিজমা ফেলে ঘরছাড়া হয় অনেকে। তারাই হয়তো জমি ফিরে পেয়েছে।

উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের জমি আন্দোলন একসময় নাড়িয়েছিল তৎকালীন বাম সরকারের ভিত। আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে কার্যত অক্সিজেন ফিরে পেতে জমিতে লালঝাণ্ডা হাতে নিয়ে চাষের কাজ শুরু করলেন একাধিক কৃষক পরিবার।

ওই সব পরিবারের দাবি, ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনে পরও থেকে ঘরছাড়া একাধিক কৃষক পরিবার থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। শুধু নন্দীগ্রাম নয় খেজুরি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় একাধিক পরিবার ঘরছাড়া হন। খেজুরির দক্ষিণ কলমদানে দীর্ঘ ১৩ বছর পর কয়েকজন চাষি তাঁদের দখল হওয়া জমি ফিরে পান। মঙ্গলবার সিপিএমের কৃষক সংগঠন কৃষক ও খেতমজুর কমিটির নেতাদের উদ্যোগে ওই গ্রামে রাসবিহারী মাইতি-সহ পাঁচ জন চাষি  ১ একর ২৯ ডেসিমিল জমি পুনর্দখল করেন বলে জানা গিয়েছে। লালঝাণ্ডা কাঁধে নিয়ে ওই জমিতে চাষের কাজও করেন তাঁরা।

সিপিএমের দাবি, ২০০৯ সালে তৃণমূলের লোকজন খেজুরির বিভিন্ন প্রান্তে সিপিএম কর্মী-সমর্থক পরিবারের লোকজন ভয় দেখিয়ে, মারধর করে জমি দখল করেছিল। দক্ষিণ কলমদানেও একইভাবে জমি দখল করা হয়। অভিযোগ, ১৩ বছর ধরে তৃণমূলের লোকজন সেই জায়গা ভোগদখল করে।

জমি পাওয়া নিয়ে সিপিএম কর্মীদের অভিযোগ, একসময় খেজুরি দখল করতে গোলাগুলি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। চলে লাগাতার সন্ত্রাস। বহু মানুষকে ঘরছাড়া, মারধর, খুন, থেকে শুরু করে সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ ওঠে ঘাসফুলের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, মহিলাদের সম্মান নষ্টর সঙ্গে জোরপূর্বক নিজের নামে রায়ত জমি করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে।

খেজুরির সিপিএম নেতা তথা দলের রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস বলেন, “বর্তমানে তৃণমূলের লুটের রাজনীতির বিরুদ্ধে দিকে দিকে মানুষ সরব হচ্ছেন। সিপিএমের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে বেদখল জমি আর বঞ্চিত মানুষের অধিকার ফিরে পাওয়ার। প্রতিবাদী মানুষজন বঞ্চিতদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে একজোট হয়েছেন। এটা তারই প্রতিফলন “।

ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য বিমান নায়ক বলেন, “সিপিএমই একটা সময় খেজুরিতে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস চালাত। তারাই জমি দখল করত। পরবর্তীকালে মানুষ সিপিএমের দখলের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়। জনরোষে অনেকে জমিজমা ফেলে ঘরছাড়া হয়। তারাই হয়তো জমি ফিরে পেয়েছে। এখানে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই।”