পূর্ব মেদিনীপুর: বন্দরে শ্রমিক সংগঠনের ভোটে তৃণমূলকে পর্যুদস্ত করে সিংহভাগ আসনেই জয় বামেদের। সোমবার হলদিয়া পোর্ট এমপ্লয়িজ ক্রেডিট কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নির্বাচন ছিল। মোট ১৫ আসনের জন্য ভোটাভুটি হয়। এরমধ্যে ১২টিই দখলে পায় বাম প্রার্থীরা। ৩টি পায় তৃণমূল। এই জয়কে অক্সিজেন হিসাবেই নিচ্ছে বামেরা। তবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল এই ভোটকে পাত্তা দিতেই নারাজ। অন্যদিকে শিল্পতালুক হলদিয়া বিধানসভা বিজেপির দখলে থাকলেও এই সমিতিতে গেরুয়া শিবিরের হাতে কিছুই এল না। বামেদের জয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াও পাওয়া যায়নি বিজেপির।
সোমবার হলদিয়া পোর্ট এমপ্লয়িজ ক্রেডিট কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে ভোট হয়। ১৫টি আসনের জন্য ভোটার ছিলেন ৬৭০ জন। বামফ্রন্ট প্রার্থীরা ১৪টি আসনে লড়াই করে। শাসকদল তৃণমূল অবশ্য ১৫টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল। বিজেপি সমর্থিত ভারতীয় মজদুর সংঘ দিয়েছিল ১৪টি আসনে প্রার্থী। ২টি আসনে লড়াই করেন নির্দলেরাও। মোট ৪৫ জন প্রার্থী ছিলেন এই ১৫টি আসনে লড়াইয়ের জন্য।
জয়ীরা জানান, তিন বছর ধরে কোঅপারেটিভে কোনও কমিটি ছিল না। চাপের কাছে নতিস্বীকার করে রাজ্য সরকার অবশেষে ভোট করিয়েছে। ক্রেডিট সোসাইটি বাঁচানোর পক্ষে এরকম তিনটি ইউনিয়নের জোট হয়। সেই জোটে হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের সমস্ত আধিকারিক থেকে কর্মীরা পাশে ছিলেন।
বামেদের দাবি, হলদিয়ার যে কোনও কারখানায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোট হলে বামপন্থীরাই জিতবে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, হলদিয়া পোর্ট এমপ্লয়িজ ক্রেডিট কোঅপারেটিভ সোসাইটির ভোটের কোনও গুরুত্বই নেই। তারা বলছে, তারপরও গতবার তৃণমূল যেখানে শূন্য ছিল, এবার ৩টে আসন পেয়েছে।