
কোলাঘাট: সোনমার্গ, শ্রীনগর, গুলমার্গ সব দেখা শেষ। পরের ‘বাকেট লিস্টে’ ছিল পহেলগাঁও। সেই মতো রওনা দিয়েছিলেন কোলাঘাটের বাসিন্দা দেবলীনা রাজ পণ্ডিত ও তাঁর স্বামী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পহেলগাঁওতে যাওয়ার পরই খানিক খটকা লাগে। এত অ্যাম্বুলেন্স, সেনার গাড়ি কী করছে। পরে হোটেলে পৌঁছতেই শুনলেন হাড়হিম ঘটনার বিষয়ে।
১৮ই এপ্রিল কোলাঘাট থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে বিমানে রওনা দিয়েছিলেন কোলাঘাটের বাসিন্দা দেবলীনা রাজ পণ্ডিত ও তার স্বামী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গি হামলার খানিক পর চারটে নাগাদ দম্পতি পৌঁছন পহেলগাঁওয়ে। অর্থাৎ ঘটনাটি ঘটেছে দেড়টা নাগাদ। দেবলীনা ও অভিজিৎ পৌঁছন চারটে অর্থাৎ আড়াই ঘণ্টা পর সেখানে পৌঁছে বুঝতেই পারছিলেন না কী ঘটেছে।
এরপর হোটেলে যাওয়ার পর জানতে পারেন কীভাবে সন্ত্রাসবাদীরা ছাব্বিশ জন পর্যটককে নৃশংসভাবে খুন করেছে। এরপর হোটেলেই বন্দি হয়ে পড়েন সকলে। তবে দেবলীনা-অভিজিৎ জানিয়েছেন, হোটেলের কর্মীরা সকলেই খুব সাহায্য় করেছেন তাঁদের। এরপর বাড়ি ফিরে আসার চেষ্টা করেন তাঁরা। আকাশ ছোঁয়া বিমানের ভাড়া দিয়েই প্রাণ হাতে নিয়ে কোলাঘাটে ফেরেন দম্পতি। স্বপ্নের ভূস্বর্গ যে এভাবে দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে তা বুঝেও উঠতে পারেননি।
দেবলীনা রাজ পণ্ডিত বলেন, “আমরা পৌঁছনোর খানিক আগেই ঘটনাটা ঘটেছে। দুটো ট্রাভেলারে গেছি। ঢোকার সময় দেখি অজস্র গাড়ি পরপর বেরিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত দোকানদাররা জটলা করে আছে। আমরা সবাই জানার চেষ্টা করি। এরপর আমরা হোটেলে ফোন করি ওরা বলে ছোট্ট ঝামেলা হয়েছে। পরবর্তীতে জানতে পারি। আগেই যদি বলে দিত তাহলে এভাবে ঘুম উড়ত না।”