মহিষাদল : নেশা করেন। নেশার টাকা জোগাড়ের জন্য দেনাও করেন। সেই টাকা শোধ করতে পারেননি। আর সেই টাকা শোধ করতে গিয়ে এক ব্যক্তি যা করলেন, তাতে চোখ কপালে উঠেছে প্রশাসনের। দেনা শোধ করতে নিজের নাবালিকা মেয়েকেই বিক্রি করে দেন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের। যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৎপরতায় তিনদিনের মধ্যে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকার মা। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নাবালিকার বাবা পলাতক।
বছর তেরোর ওই নাবালিকার মা বলেন, “সোমবার মেয়ে স্কুল থেকে ফেরার পর আমার স্বামী বলেন, মেয়েকে একটা বাড়িতে রেখে আসব। ওই বাড়িতে থেকে মেয়ে পড়াশোনা করবে। ওই পরিবার ভাল।” স্বামীর কথা শুনে মেয়েকে তাঁর সঙ্গে পাঠান তিনি। পাশের গ্রামে মেয়েকে নিয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে নাবালিকার মা মেয়েকে বাড়ি আনতে বললে ওই ব্যক্তি নানা অজুহাত দেন। তখনই সন্দেহ হয় পরিবারের। এরপর পঞ্চায়েত সদস্যদের সহায়তায় নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগ, নাবালিকাকে উদ্ধার করায় পঞ্চায়েত সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নাবালিকার পরিবারকেও ভয় দেখানো হচ্ছে। ঘটনার পর নাবালিকার পর বাড়ি থেকে পালিয়েছেন। আজ ঘটনাটি জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন নাবালিকার মা।
বিডিও যোগেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “নাবালিকার বিয়ের ঘটনার কথা শোনা যায়। কিন্তু, দেনা শোধের জন্য নিজের মেয়েকে বিক্রির ঘটনা এই এলাকায় শোনা যায়নি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ওই ব্যক্তি কাদের কাছে মেয়েকে বিক্রি করেছিলেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না বিডিও। বললেন, “কয়েকজনের নাম সামনে এসেছে। এখনই তাদের নাম বলছি না। তদন্ত চলছে।”
মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য তাকে এখন কোনও হোমে রাখা হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহিষাদল থানার পুলিশ।