Panskura: ‘পুলিশও তো সন্তানের বাবা…’, চিপস-কাণ্ডে ১৬ দিন পরও অধরা সিভিক ভলান্টিয়ার

Panskura: সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকানেই চিপস কিনতে গিয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। শুভঙ্কর তাকে মারধর করে, এমনকী কান ধরে ওঠ-বোস করায় বলেও অভিযোগ। সেই সিভিক কর্মীর বিরুদ্ধেই দায়ের হয় এফআইআর।

Panskura: পুলিশও তো সন্তানের বাবা..., চিপস-কাণ্ডে ১৬ দিন পরও অধরা সিভিক ভলান্টিয়ার
কৃষ্ণেন্দুর মা সুমিত্রাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 05, 2025 | 6:25 PM

পাঁশকুড়া: আমি কি বিচার পাবো না! ১৬দিন পর মায়ের মুখে একটাই প্রশ্ন। পাঁশকুড়ার চিপস-কাণ্ডে এখন বিচার পেলেন না কৃষ্ণেন্দুর মা। নাবালক সন্তান আত্মঘাতী হওয়ার পর সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তারপর আদালতে ডেকে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। তবে শুভঙ্কর এখনও বেপাত্তা!

পূর্ব মেদিনীপুরে পাঁশকুড়ার গোসাইবেড় গ্রামের বাড়িতে বসে শুধুই সন্তানের জন্য দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন মা। চিপস কিনতে গিয়ে চোর অপবাদ পেতে হয়েছিল ওই নাবালককে। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে এসে আত্মঘাতী হয়। নিজের খাতায় মা-কে লিখে যায় যে সে চুরি করেনি। দোকানের সামনে পড়েছিল চিপসের প্যাকেটটি। সেটাই কুড়িয়ে নিয়েছিল।

সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকানেই চিপস কিনতে গিয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। শুভঙ্কর তাকে মারধর করে, এমনকী কান ধরে ওঠ-বোস করায় বলেও অভিযোগ। সেই সিভিক কর্মীর বিরুদ্ধেই দায়ের হয় এফআইআর।

এখনও সিভিক কর্মী শুভঙ্কর দীক্ষিতকে কেন ধরা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃত শিশুর মা।

তিনি বলেন, “আমরা তো গরিব না? তাই পুলিশ আমাদের সঙ্গে ভাল করে কথাও বলছেন না। দোষীদের আড়াল করে রাখছে। পুলিশও তো সন্তানের বাবা। সবাই বলেছিল অভিযোগ জানাচ্ছ না কেন। জানিয়েও কোনও লাভ হল না। না পারলে জানিয়ে দিক যে বিচার দিতে পারবে না।”

গত ২ জুন আদালতে গিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন আত্মঘাতী নাবালক কৃষ্ণেন্দুর দাসের মা সুমিত্রা দাস ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তারপরও তিনদিন কেটে গিয়েছে। মা সুমিত্রার প্রশ্ন, এত বড় বড় ঘটনার কিণারা করছে, অথচ আমার ছেলের মৃত্যুর পরও দোষীদের ধরতে পারছে না!