নন্দীগ্রাম: পাখির চোখ নন্দীগ্রাম। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের আগে কর্মীদের বার্তা। জেলবন্দি নন্দীগ্রামে ১২ জন তৃণমূল নেতাকর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নন্দীগ্রামে ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। আর্থিক ও আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তা দেন। উচ্চ নেতৃত্বের আশ্বাস পেয়ে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকের পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল সকালে নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেতা বাপ্পাদিত্য গর্গ জেলবন্দি একাধিক তৃণমূল পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা খোঁজ খবর নেন। জানা গিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মামলা তদন্তের দায়ভার নায় সিবিআই। নন্দীগ্রামে ১২ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তাঁরা জেলবন্দি রয়েছেন। একটানা দু’বছর ধরে জেলেই দিন কাটছে তাঁদের। এদিকে, পরিবারের সদস্যরা জেলে থাকায় আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত পরিবারের সদস্যরা। সেই পরিবারগুলিকেই সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তৃণমূল নেতৃত্বরা।
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্ত গর্গ বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর, নন্দীগ্রামে বিজেপি মদনপুষ্ট তোতা পাখি সিবিআইকে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ১২ জন নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। টানা দু’বছর জেলবন্দি রয়েছেন। এরা কোনও অপরাধ করেননি। এদের একটাই অপরাধ এরা তৃণমূল কংগ্রেস করেন।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশক্রমে জেলবন্দি ১২ জনের মধ্যে ৮ জনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলাম।” জেলবন্দি এক পরিবারের সদস্যরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমার পরিবার এক সদস্য জেলবন্দি রয়েছে। আর্থিকভাবে আমরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। নেতৃত্বরা পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। খুবই খুশি।”
বস্তুত, বিধানসভা নির্বাচনে হটস্পট হয়ে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম। নির্বাচনী কেন্দ্রের দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও অল্পর ব্যবধানে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে দেন। যদিও এই জয় নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন। কারণ প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী ঘোষণা করলেও, পরে শুভেন্দু অধিকারী ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।