পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী। এক বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নন্দীগ্রামের মহেশপুরে। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক শোরগোল তৈরি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে নন্দীগ্রামের মহেশপুরে অভিজিৎ সাহু নামে ওই বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, বিজেপির করার অপরাধেই তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। গোকুলনগরের বৃন্দাবনচকে অভিজিৎ বিজেপি কার্য্কর্তা হিসাবে সক্রিয়। সেখানে গত কয়েক মাস ধরেই তিনি নানাবিধ হুমকির মুখে পড়ছিলেন বলে অভিযোগ।
রবিবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। অভিযোগ, কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে বেধড়ক মারধর করেন। লাঠি-লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্তের দাবি, অভিযুক্তরা এলাকায় তৃণমূল আশ্রীত বলেই পরিচিত।
রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারাই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই বিজেপি কর্মী। সোমবার নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ তৃণমূলের স্থানীয় নেতা গোপাল জানা ও অনুপ মাইতি বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এই হামলা চালিয়েছেন। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। আজ নন্দীগ্রাম থানায় ডেপুটেশন ও লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। তমলুক জেলা সহ সভাপতি সাহেব দাস বলেন, “বৃন্দাবন চকে গোপাল জানা ও অনুপ মাইতির নেতৃত্বে আমাদের কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে এনে মারধর করা হয়। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি হয়েছে।”
অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “সমবায় সমিতিতে হেরে যাওয়ার পর বিজেপি নানাভাবে তৃণমূলকে অপদস্ত করে বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে।” যদিও যে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাঁদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল। তা নিয়েও শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। সেসময় এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।